টোকিও: জাপানে শতায়ু প্রায় দুইশ’ নাগরিক নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার কর্মকর্তারা একথা জানায়।
জুলাইয়ের শেষে শুধু কোবো শহরেই ৮৪৭ শতায়ু ব্যক্তির মধ্যে ১০৫ জনের অবস্থান জানা যায়নি বলে শহরের এক কর্মকর্তা জানান।
কর্মকর্তা জানান, ওই ১০৫ জনের অবস্থা জানার জন্য শহরে তদন্ত শুরু হচ্ছে।
এছাড়া ওসাকা শহরের ৮৫৭ জনের মধ্যে ৬৪ জন বর্তমানে নিখোঁজ। এদিকে ১২৭ বছর পূর্ণ হওয়ার নিবন্ধন করা এক ব্যক্তি ১৯৬৬ সালে মারা গেছেন বলে বৃহস্পতিবার কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
একইসঙ্গে কিতাকউসু শহরের ১০ জন শতায়ু ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানা যায়।
এদিকে টোকিও’র সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে নিবন্ধনকৃত ১১৩ বছরের ফুসা ফুরুয়াকে অর্ধশত বছর থেকে দেখা যাচ্ছেনা বলে তার ৭৯ বছরের মেয়ে জানান।
এদিকে কর্তৃপক্ষ প্রকৃত নিখোঁজদের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। কারণ বর্তমানে জাপানে সরকারি সুবিধাভোগের যে ব্যবস্থা বহাল আছে তা বয়স্কদের আত্মীয়দের উৎসাহিত করতে পারে।
সোগান কাটোর নামের ১১১ বছরের বয়সী ব্যক্তির জন্মদিনে কর্মকর্তারা যখন তার বাড়িতে যান তখন তার ৩০ বছরের পুরনো মমির সন্ধান পান। এথেকেই কর্মকর্তারা ওই ধারণা করছেন।
তবে কাটোর ব্যাংকে সরকার এখনও পেনশন দিয়ে আসছে। যা প্রতারণার শামিল। এ অভিযোগে তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, জাপানে শতায়ু ব্যক্তিদের জন্মদিনের উপহার দেওয়ার প্রচলন আছে। কিন্তু, অধিকাংশ সময়েই কর্মীরা শতায়ু ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের কাছে উপহার হস্তান্তরে বাধ্য হন। বৃদ্ধ ব্যক্তিটি তা গ্রহণ করেছেন কিনা তাও কর্মকর্তারা নিশ্চিত হতে পারেনা।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭৩০ঘণ্টা, আগস্ট১২, ২০১০