ঝুঁকো: উত্তর-পশ্চিম চীনে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে সোমবার ৭০২ জনে পৌঁছেছে। এখনও এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বুধবার আরও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
গানশু প্রদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় শনিবার রাতে ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট প্রচন্ড কাদা ও পাথর ধসে তিনটি গ্রাম কাদার নিচে চাপা পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও রোববার ও সোমবার আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টার জন্য উদ্ধারকর্মীদের এবং খাদ্য ও পানির অভাবে থাকা হাজার হাজার মানুষের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের আহ্বান জানান।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সোমবার জানান, ‘এখন প্রধান কাজ ও চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া হ্রদগুলোর প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে সঠিক সময়ে এবং তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজের সুযোগ তৈরি করা, কাদা পরিস্কার করা এবং খাবার পানি সরবরাহ শুরু করা। ’
নিহতের সংখ্যা আগের ১শ’ ৩৭ জনের তুলনায়
তিব্বতিয়দের স্বশাসিত জেলা গান্নানের কমিউনিস্ট দলের প্রধান চেন জিয়ানহু’র বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, সোমবার বিকেলের দিকে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭শ’ ২ জনে পৌছেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১শ’ ৪৮ জন নিখোঁজ বলেও জানান তিনি।
এছাড়া আহত ২১৮ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা ৪১ জনকে চিকিৎসার জন্য প্রাদেশিক রাজধানী লানঝোতে পাঠানো হয়েছে।
একইসঙ্গে প্রত্যেক নিহতদের পরিবারের প্রতিটি নিহত সদস্যের জন্য এক হাজার ২শ’ ডলার করে দেওয়া হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
মূলত ঝুঁকো জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে ভূমিধসের কারণে কাদা, বাড়িঘর ও আবর্জনা পড়ে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে পাহাড়ি এ এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয় বলে সরকারি সূত্রে জানা যায়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১০