কলম্বো: শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের তদন্তের শুরু হয়েছে। সরকার নির্ধারিত একটি তদন্ত প্যানেল বুধবার কলম্বোতে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
সরকারের একজন কর্মকর্তা জানান, আট সদস্যের এ প্যানেল রাজধানীতে আলাদাভাবে পাঁচদিন এবং তামিল গেরিলাদের এলাকা ভাভুনিয়াতে দুইদিন সাক্ষ্য গ্রহণ করবে।
শ্রীলঙ্কার সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের মধ্যে ২০০২ সালে স্বাক্ষরিত অস্ত্র বিরতি চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়া এবং আরও লড়াইয়ের কারণ অনুসন্ধানের ওপর এ প্যানেল জোর দিবে।
একইসঙ্গে শ্রীলঙ্কার আর কোনো ধরনের সংঘর্ষে জড়িয়ে না পড়া নিশ্চিত করতে এ প্যানেল একটি আইনের সুপারিশ করবে বলেও প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়।
বুধবার প্যানেলের কার্যক্রমের আনুষ্টানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। ১৭ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের মত সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।
উল্লেখ্য, গৃহযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে জাতিসংঘের আলাদা তদন্ত কার্যক্রম বরাবরই নাকচ করে আসছে শ্রীলঙ্কা। ২০০৯ সালের মে মাসে সেনা সদস্যরা তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের পরাজিত করার মধ্য দিয়ে নয় বছরের এ যুদ্ধের অবসান হয়।
জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে তামিল টাইগারদের সঙ্গে যুদ্ধের শেষ চার মাসে অন্তত ৭ হাজার আদিবাসী তামিল নাগরিক নিহত হয়েছে। কিন্তু, বিদ্রোহীদের পরাভূত করার সময় কোনো নাগরিক নিহত হবার বিষয়টি শ্রীলঙ্কা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। এ কারণে দেশটি কখনোই জাতিসংঘ বা কোনো ধরনের স্বাধীন সংস্থাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্ত করার অনুমতি দেয়নি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১০