বেইজিং: পশ্চিম চীনের বিভিন্ন অংশে ভারী বর্ষণের ফলে ভূমিধসে শুক্রবার ১৯ জন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ভূমিধস বিধ্বস্ত এ অঞ্চলে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চিকিৎসা সেবা ও খাবার পানীয়ের সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চীনের উত্তরপশ্চিমের গানশু প্রদেশের প্রত্যন্ত শহর ঝাঁকোতে ভয়াবহ বন্যায় বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো নতুন করে স্বাস্থ্য-ঝুঁকির মধ্যে আছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গানশু ও পাশ্ববর্তী সিচুয়ান প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসে এ পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির নিচে আটকা পড়েছে অনেক মানুষ।
ঝাঁকোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ৬শ’ ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছে। এর আগে বন্যায় মারা যায় ১ হাজার ১শ’ ৪৪ জন।
ঝাঁকো জেলার সরকারের এক মুখপাত্র ইয়ান ঝিনসিয়ান শুক্রবার টেলিফোনে এএফপিকে বলেন, “উদ্ধারকাজ অব্যাহত আছে কিন্তু নতুন করে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ”
বিকালের মধ্যে আরও বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হয়ে যাবার কারণে এর মধ্য দিয়ে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ”
এদিকে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ক্রমেই বেড়ে চলেছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানায়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “উদ্ধার, ত্রাণকর্মী ও বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের একটি বড় অংশ বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন, এ কারণে সেখানে আন্ত্রিক ও শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত সংক্রামক রোগের ঝুঁকি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ”
তবে এ পর্যন্ত ৮শ’ চিকিৎসা কর্মীকে এ এলাকায় পাঠানো হয়েছে। মুখে মাস্ক লাগিয়ে তারা উদ্ধার অভিযান ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
একইসঙ্গে স্থানীয় কর্তৃপক্ষরা এ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়াসহ তাদেরকে তাবু, নুডুলস এবং বোতলজাত পানি সরবারাহ করছেন।
এদিকে পাশ্ববর্তী সিচুয়ান প্রদেশে পাঁচ জন নিহত হওয়াসহ গ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল মিয়ানঝুতে ৫শ’ লোক আটকা পড়েেেছন বলে স্থানীয় সরকারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়। একইসঙ্গে ভারী বর্ষণের কারণে শানসি প্রদেশের হাজার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১০