কুয়ালালামপুর: ৩২ বছর পর আশ্চর্যজনকভাবে মালয়েশিয়ার সমুদ্র সৈকতে ফিরে এসেছে বিশলাকৃতির বিরল এক কচ্ছপ। পরিবেশবাদীরা এ ঘটনাকে “বিস্ময়কর” বলে অভিহিত করেছেন।
সমদ্রের সব প্রজাতির কচ্ছপের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়। মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলের তেরেঙ্গানু রাজ্যের রান্তাউ আবাং সৈকতে একসময় এটির বেশ তারকাখ্যাতি ছিলো। মাত্রাতিরিক্তি মাছ শিকার, দূষণের কারণে এ প্রজাতির কচ্ছপের জন্মহার ক্রমেই কমে যাচ্ছিল।
এই কচ্ছপ “পুতেরি রানতাউ আবাঙ্গ” বা “রানতাউ আবাঙ্গ রাজকন্যা” নামে পরিচিত। গত মাসে দীর্ঘ যাত্রা শেষে এটি এখানে ফিরে আসে। ১৯৮০র দশকের পর থেকে যা কখনোই তেরেঙ্গানুতে দেখা যায়নি।
মালয়েশিয়ার মৎস্য বিভাগের মহাপরিচালক আহমেদ সাবকি মাহমুদের বরাত দিয়ে দি স্টার সংবাদপত্র জানায়, “এটা বিস্ময়কর যে, এ অঞ্চলে লেদারব্যাক কচ্ছপ ফিরে আসছে। ”
লেদারব্যাক কচ্ছপটির জন্ম ১৯৭৮ সালে। এ মুহূর্তে এটির ওজন ৫০০ কেজি। এর শরীরের দৈর্ঘ্য দেড় মিটার ও প্রস্থ এক দশমিক ১৬ মিটার।
বৃহস্পতিবার কচ্ছপটিকে সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে একে অনুসরণ করতে এর সঙ্গে একটি স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পৃথিবীতে লেদারব্যাক কচ্ছপের বসবাস ছিলো সাত কোটি ৫০ লাখ বছর আগেও। মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানুই হচ্ছে লেদারব্যাক কচ্ছপের একমাত্র আবাসভূমি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১০