নমপেন: কম্বোডিয়ার আইনজীবীরা সোমবার যুদ্ধাপরাধী খেমার রুজ কারাপ্রধানের দণ্ডাদেশ বাড়াতে আবেদন করেছেন। তারা জানান, ’৭০-এর দশকে ওই যুদ্ধাপরাধীর তত্ত্বাবধানে ১৪ হাজার মানুষ খুন হয়েছেন।
সাবেক কারাপ্রধান কাইং গুয়েক ইয়াভ (৬৭) কমরেড দুশ নামেও পরিচিত। জাতিসংঘ সমর্থিত একটি আদালত গত ২৬ জুলাই তার ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
পরে দুশের সাজা পাঁচ বছর কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। অবৈধভাবে তাকে আটক রাখার তিপূরণ হিসেবে সাজা কমে যায়।
আইনজীবীরা একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দুশের অপরাধের মাত্রা এবং ওই অপরাধগুলোর সঙ্গে ইচ্ছাকৃত জড়িত থাকার বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে তার শাস্তি কম হয়েছে। ’
খেমার রুজ ওই কমান্ডার ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ‘কিলিং ফিল্ডস এ’ ১৭ লাখ মানুষের মৃত্যুর দায়ী।
তুয়োল স্লেং নামের জেলের প্রধান কমরেড দুশ খুন, নির্যাতন, ধর্ষণসহ মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
কমরেড দুশ আদালতে জানান, হত্যা করা বা নিজে হত্যার শিকার হওয়া’ ছাড়া তার আর কোনো উপায় ছিল না। তবে আইনজীবীরা জানান, আদর্শিকভাবে তিনি খেমার রুজের শীর্ষ নেতাদের মতোই মানসিকতার। তাঁর জেলে হত্যাকাণ্ড থামানোর জন্য তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি।
জাতিসংঘ-কম্বোডিয়ার যৌথ আদালতের রায়ের সাধারণ মানুষ ােভ প্রকাশ করেছে। গত পাঁচ বছরে ওই আদালত যুদ্ধারপরাধ বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাত কোটি ৮৪ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে।
গত ২৬ জুলাইয়ের ওই রায়ে আদালত জানান, দুশের অনুশোচনা, আদালতের সঙ্গে সহযোগিতা, তার সম্ভাব্য পুনর্বাসন ও খেমার রুজ আমলে কঠোর জীবনের কথা বিবেচনা রেখে আদালত তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেননি। কম্বোডিয়ায় মৃত্যুদণ্ডের আইন নেই।
বাংলাদেশ সময় ১৭৫০ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১০