সোমবার (১২ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নাবালনিকে এবং তার আগে তার সমর্থকদের আটকের কথা জানানো হয়। পুতিনের সবচেয়ে বড় সমালোচক হিসেবে পরিচিতি নাবালনি প্রগ্রেস পার্টির নেতা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, নাবালনি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজধানীর কেন্দ্রে সমাবেশে সমবেত হওয়ার ডাক দেন। কিন্তু সেখানে তাদের অনুমতি দিতে বিরত থাকে প্রশাসন। এর বদলে তাদের শাখারভ অ্যাভিনিউতে কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয়। পরে আবার নেতাকর্মীদের অপদস্থ করার অভিযোগে বিক্ষোভস্থল মস্কোর কেন্দ্রেই ঘোষণা করেন নাবালনি।
পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রগ্রেস পার্টির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পুরো দেশজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মস্কো, একেবারে পূর্বাঞ্চলের শহর ভ্লাদিভস্তক, ব্লেগোভেশচেস্ক, কাজানসহ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে প্রগ্রেস পার্টির অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রগ্রেস পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারাদেশের ১৬৯টি জায়গায় বিক্ষোভ ডাকা হয়েছে। প্রধান সমাবেশ হবে রাজধানী মস্কো ও বন্দরনগরী সেন্ট পিটার্সবার্গে।
যদিও সরকারি ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও এই বিক্ষোভে জনঅংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে না। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের দাবি, এবার দুর্নীতিবিরোধী এ বিক্ষোভে জনঅংশগ্রহণ কম দেখা গেলেও জনতার সাড়া মিলেছিল মার্চের বিক্ষোভে। সেবার প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রেক্ষিতে ছড়িয়ে পড়া সেই বিক্ষোভ ধরপাকড়ের মধ্য দিয়েই শেষ হয়।
প্রগ্রেস পার্টি আশঙ্কা করে বলেছে, নাবালনিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার মধ্য দিয়ে পুতিন সরকার মার্চের মতোই তাদের বিক্ষোভ করার গণতান্ত্রিক অধিকার ব্যাহত করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
জিইউ/এইচএ/