আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী এ দেশ প্রিন্স পদে পরিবর্তনের ঘটনাটিকে রাজপরিবারে ‘ষড়যন্ত্রমূলক অভ্যুত্থান’ হিসেবে দেখছে। একইসঙ্গে বলছে রাজনৈতিক ভূমিকম্প।
বুধবার (২২ জুন) রাজকীয় এক অধ্যাদেশে সৌদি বাদশাহ সালমান তার ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফ বিন আব্দুল আজিজকে প্রিন্স পদ থেকে সরিয়ে পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজকে স্থলাভিষিক্ত করেন। তাকে প্রিন্স পদে নিয়ে আসার অর্থ বাদশাহ সালমানের পরই সিংহাসনে বসবেন তার পুত্র।
সৌদি বাদশাহর এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়, এটা রাজনৈতিক ভূমিকম্প। মোহাম্মদ বিন নায়েফকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়াটা রাজপরিবারে ষড়যন্ত্রমূলক অভ্যুত্থান।
প্রেস টিভির এক নিবন্ধে সিংহাসনের নতুন উত্তরাধিকারী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ বিন সালমানের নীতিগত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলা হয়, ইয়েমেনে সৌদি সামরিক জোটের রক্তাক্ত সামরিক অভিযান পরিচালনায় তার ‘ভূমিকা’ নিন্দনীয়। সেই মোহাম্মদ বিন সালমানকেই করা হয়েছে রাজসিংহাসনের উত্তরসূরী।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বাদশাহ সালমান যখন ক্ষমতায় বসেন তখন নতুন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে একেবারেই অপরিচিত। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক কাউন্সিলের প্রধান করার মাধ্যমে তাকে সামনে নিয়ে আসা হয়। তার পর থেকে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের ওপর সামরিক ও কূটনেতিকভাবে চাপ তৈরিতে মোহাম্মদ বিন সালমানের ভূমিকা প্রশংসিত হয়ে আসছে তেহরানবিরোধী আরব বলয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ২২ জুন, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/