শুক্রবার (২৩ জুন) তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফিকরি ইসিক রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আঙ্কারার এই অবস্থান জানান।
সামরিক ঘাঁটি বন্ধের শর্ত বা আরবদের অন্য শর্তগুলো এখনও দেখেননি জানিয়ে ফিকরি ইসিক বলেন, কাতারে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনে আঙ্কারা ২০১৪ সালে যে চুক্তি করেছিল, সেটি এখন বাস্তবায়নের পথে, তা থেকে সরে আসার কোনো পরিকল্পনা তুরস্কের নেই।
তিনি বলেন, এই সামরিক ঘাঁটি উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদানকারী। এটা বন্ধ করে দেওর যে দাবি উঠেছে সেটা দোহার সঙ্গে আঙ্কারার দ্বিপাক্ষিক বন্ধনে হস্তক্ষেপ করার শামিল।
বরং কাতারে আরও বেশি তুর্কি সেনা পাঠানো হতে পারে বলেও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসিক।
অবশ্য এরইমধ্যে সেনা সহায়তা ও চুক্তি অনুসারে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) কাতারে ৫টি সামরিক ট্যাংক ও ২৩ সেনাসদস্যের একটি দল পাঠিয়েছে তুরস্ক। আগে থেকেই সেখানে রয়েছে ৮৮ তুর্কি সৈন্য। ঈদুল ফিতরের পরপরই কাতারের সৈন্যদের সঙ্গে তারা যৌথ মহড়া শুরু করবে।
ফিকরি ইসিক বলেন, কাতারে তুরস্কের সেনাদের উপস্থিতিতে উপসাগর উপকৃত হবে। কাতারের এ ঘাঁটি উভয় দেশেরই ঘাঁটি। এ ঘাঁটি কাতার এবং এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
সন্ত্রাসবাদে মদদ, আঞ্চলিক অস্থিরতা বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাসহ বেশ কিছু অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, বাহরাইন, পশ্চিমাপন্থি ইয়েমেন ও লিবিয়া সরকার। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আসছে কাতার।
সংকট সমাধানে তুরস্কের ওই সামরিক ঘাঁটি বন্ধসহ কাতারকে ১৩টি শর্ত জুড়ে দেয় আরবরা। শর্তের মধ্যে আল-জাজিরা বন্ধ ও রিয়াদের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী তেহরানের সঙ্গে দহরম-মহরম সম্পর্ক কমিয়ে আনার দাবিও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/