শুক্রবার (২৩ জুন) তাদের ১৫ মাসের এই স্থগিত কারাদণ্ড ও ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকারি কৌঁসুলির বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আটজন হলেন আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদের আত্মীয় শায়খা হামদা আল-নাহিয়ান ও তার সাত কন্যা। তবে এরা এখন স্বদেশে রয়েছেন বলে কেউই বিচারকার্য চলাকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, অর্থদণ্ডের অর্ধাংশ সাসপেন্ড করা হয়েছে। দণ্ড সাসপেন্ডেড করার অর্থ হলো- দণ্ডিতকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরমধ্যে তিনি একই অপরাধ পুনর্বার না করলে সেই দণ্ড আর আদায় হবে না। অর্থাৎ সাসপেন্ডেড জেল হওয়ায় তাদের আপাতত কারাগারেও ঢুকতে হচ্ছে না।
কৌঁসুলিরা জানান, অভিযুক্ত রাজকন্যারা ২০০৮ সালে ২০ জনেরও বেশি গৃহকর্মীকে বেলজিয়ামে এক সফরে নিয়ে আসেন অনেকটা দাসীর মতো করে। পরে তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়।
সেই গৃহকর্মীদের একজন কৌশলে পালিয়ে গিয়ে একটি অধিকার সংগঠনের দ্বারস্থ হলে অভিযোগটি আদালতে গড়ায়। ৯ বছর বিচার প্রক্রিয়ার পর শুক্রবার এ রায় এলো।
নির্যাতিত গৃহকর্মীদের অভিযোগ, তাদের ব্রাসেলসের একটি হোটেলে ২৪ ঘণ্টা খাটানো হতো, ঘুমাতে বাধ্য করা হতো রুমের মেঝেতে, দেওয়া হতো না কোনো ছুটি, চলতো অমানবিক নির্যাতনও।
এই রায় ঘোষণায় সেই গৃহকর্মীদের আইনজীবীরা আদালতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালতের রায় মাথা পেতে নেন বিবাদীদের আইনজীবীরাও। তবে দণ্ডাদেশ কমানোর জন্য তারা আপিল করবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এইচএ/