বৃহস্পতিবার (২২ জুন) কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই ১৩ শর্ত পৌঁছালে শুক্রবার (২৩ জুন) বিবৃতি দেন সরকারের মুখপাত্র শেখ সাইফ বিন আহমেদ আল থানি।
এতে তিনি বলেন, এই শর্তগুলো কাতারের আগের কথাগুলোকেই প্রমাণ করলো যে, এ ধরনের অবৈধ অবরোধ সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলার জন্য নয়, এসব বরং কাতারের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করা এবং আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে হস্তক্ষেপ করার জন্য।
বিবৃতিতে কাতার সরকারের যোগাযোগ কার্যালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবরোধকারী দেশগুলোকে তাদের ‘গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবায়নযোগ্য দাবি’ উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছিল। ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ‘বিবেচনাযোগ্য ও বাস্তবসম্মত’ দাবি উত্থাপনের কথা বলেছিল। কিন্তু চার দেশের এ ১৩ শর্ত কোনো মানদণ্ডেই পড়ছে না।
দোহার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবরোধ প্রত্যাহারের শর্ত হিসেবে আরবদের দেওয়া ১৩ দফা পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কাতার।
সন্ত্রাসবাদে মদদ, আঞ্চলিক অস্থিরতা বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাসহ বেশ কিছু অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, বাহরাইন, পশ্চিমাপন্থি ইয়েমেন ও লিবিয়া সরকার। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আসছে কাতার।
সংকট সমাধানে ২২ জুন দোহাকে ওই ১৩ শর্ত বেঁধে দেয় সৌদি, আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন। এরমধ্যে প্রধান তিনটি শর্ত হলো কাতারের প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বন্ধ, কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করতে হবে এবং রিয়াদের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী তেহরানের সঙ্গে দহরম-মহরম সম্পর্ক কমিয়ে আনতে হবে।
এরইমধ্যে তুরস্কও এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী সামরিক ঘাঁটি সরানোর চিন্তাও করছে না আঙ্কারা। দোহা বরাবরই বলে আসছে, তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে হস্তক্ষেপের প্রশ্নে তারা কোনো ধরনের আপস করবে না। চার আরব দেশের এই শর্ত পূরণে সময় দেওয়া হয়েছে ১০ দিন। এরমধ্যে কাতার অবস্থান না বদলালে আরও ‘কড়া পদক্ষেপ’ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছে আরবরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/