শুক্রবারের (২৩ জুন) হামলা পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়ার বিষয়টি শনিবার (২৪ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানিয়েছে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, মক্কা ও জেদ্দায় তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে হামলার পরিকল্পনা চলছিল।
পরে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে সে প্রত্যাখ্যান করে এবং নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে সে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সে মারা যায়। বিস্ফোরণের ফলে তার আশ্রয়স্থল বাড়িটির একটি অংশ ধসে পড়ে। এতে ওই বাড়িতে থাকা আরও পাঁচ বিদেশি আহত হয়েছেন। সামান্য আঘাত পেয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীরও পাঁচ কর্মকর্তা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, হামলা পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ওই পাঁচজন আহত সেই বিদেশিরা কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি।
মুসলিম উম্মাহর সম্মিলনস্থল মসজিদুল হারাম বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। মসজিদুল হারামের ভেতরে ক্বাবা শরিফে হজ ও ওমরাহ পালনের জন্য প্রতিবছর কোটি মুসলমানের আগমন ঘটে।
সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলছে, আত্মঘাতী ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া না গেলেও পরিকল্পনায় যে বিদেশি শক্তি জড়িত তা রিয়াদ মোটামুটি নিশ্চিত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে আরও দাবি করা হচ্ছে, সৌদি আরবের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতেই হামলার পরিকল্পনাটি করা হচ্ছিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এই হামলা পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, আবুধাবী সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে রিয়াদের পাশে আছে।
সন্ত্রাসবাদে মদদ ও অভ্যন্তরণী বিষয়ে হস্তক্ষেপসহ নানা অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশরসহ আটটি দেশ। তারপর থেকে কাতার একঘরে হয়ে পড়েছে।
হামলা পরিকল্পনায় ‘বিদেশি শক্তি জড়িত’ বলে রিয়াদ সেই একঘরে হয়ে পড়া কাতারকেই বুঝিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এইচএ/