গত বছরের নির্বাচনের সময় থেকেই অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপ রয়েছে। মার্কিন মুলুকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তও চলছে।
আগামী সপ্তাহে (৭-৮ জুলাই) জার্মানির হ্যামবার্গে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে যোগদানের সময় সাডলাইনে মুখোমুখি হবেন দুই ক্ষমতাধর দেশের নেতা। জার্মানির জি-২০ সম্মেলনে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকের কথা বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচ আর ম্যাকমাস্টার বলেছেন, দুই নেতার বৈঠকের কোনো এজেন্ডা এখনও নির্ধারিত হয়নি।
গত বছরের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ইস্যুটি নিয়ে নিজ দেশে বিপাকে রয়েছেন ট্রাম্প। ইস্যুটিকে কেন্দ্র করে সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন ও সাবেক এফবিআই প্রধান জেমস কোমির ইতোমধ্যে দায়িত্ব গেছে।
বেশ কিছু বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তিক্ত সম্পর্কও রয়েছে। এর মধ্যে ইউক্রেন ইস্যু, ন্যাটো সম্প্রসারণ এবং রাশিয়ার গৃহযুদ্ধের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।
ট্রাম্প সবসময়ই রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবেন বলে জানিয়ে আসছেন। তবে তার দলেরই রিপাবলিকানরা মস্কো’র বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাশিয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প কৌশলী উল্লেখ করে ম্যাকমাস্টার বলেন, প্রেসিডেন্ট এটা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে অধিক গঠনমূলক সম্পর্ক মজবুত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে জেতাতে সহযোগিতার জন্য রাশিয়া ডেমোক্রেটিক পার্টির ওয়েবসাইট হ্যাক করে ও ইমেইল ফাঁস করে। তবে তারা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। আর ট্রাম্প জানিয়েছেন, মস্কোর সঙ্গে কোনো বিবাদে জড়াবে না তার প্রশাসন।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের বেশ কয়েকটি কমিটি ও এফবিআই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৭
জিওয়াই/আইএ