দেশব্যাপী পরিচালিত অভিযানে এক হাজার ৩৫ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন পুলিশ।
আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ১শ ৩৫, মায়ানমারের ১০২, ফিলিপাইনের ৫০, থাইল্যান্ডের পাঁচ এবং ভিয়েতনামের দুইজন রয়েছেন।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী শনিবার (০১ জুলাই) জানান, অভিযানে ১শ ৫৫টি জায়গায় তিন হাজার ৩শ ৯৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অবৈধ শ্রমিকের নিবন্ধনের জন্য ই-কার্ড (এনফোর্সমেন্ট কার্ড) নিতে বেঁধে দেওয়া মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শুক্রবার (৩০ জুন) মধ্যরাত থেকে শনিবার পর্যন্ত অভিযানে এই অভিবাসীদের আটক করা হয়।
অভিযান চালানো হয়েছে দেশটির মালয় উপদ্বীপের বৃহত্তম রাজ্য জোহরের রাজধানী জোহর বাহরু, মালাক্কা প্রণালী পাড়ের শহর ক্লাং, কেদাহ রাজ্যের রাজধানী আলোর সেতার, কোটা বাহরু, প্রথম শহর মালাক্কা, পেরাক রাজ্যের রাজধানী ইপোহ, কুয়ালা তেরেঙ্গনু, পাহাংয়ের রাজধানী কুয়ানটান, সেরেমবান ও পেনাং রাজ্যের শহর জর্জটাউন এবং বোর্নিও দ্বীপের সারাবাক রাজ্যের রাজধানী কুচিং ও পূর্বাঞ্চলের সাবাহ রাজ্যের রাজধানী কোটা কিনাবালুসহ বিভিন্ন এলাকায়।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের এ জোরদার অভিযানে সহায়তায় ছিলো স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলীর বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম বার্নামা অভিবাসী আটকের এ খবর দিয়েছে।
অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দেশটিতে প্রায় ছয় লাখ অবৈধ শ্রমিক অবস্থান করছেন। তাদের বৈধভাবে অবস্থানে ৩০ জুন রাত ৮টা পর্যন্ত ই-কার্ড সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হলেও সর্বমোট এক লাখ ৫৫ হাজার ৬শ ৮০ জন শ্রমিক ই-কার্ডের জন্য আবেদন করেন, যার হার ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে সরবরাহ করা হয় এক লাখ ৪০ হাজার ৭শ ৪৬টি কার্ড। হিসাব অনুযায়ী, প্রায় সাড়ে চার লাখ শ্রমিকই অবৈধভাবে অবস্থান করছেন এশিয়ার উন্নত দেশটিতে।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ই-কার্ড নিবন্ধন শুরু হয়। অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের এক বছরের জন্য এ নিবন্ধন করা হয়। যারা এ কার্ড পেয়েছেন বা বিবেচনাসাপেক্ষে পাবেন, তারা আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধভাবে অবস্থান করতে পারবেন দেশটিতে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৭
জিওয়াই/এসএনএস