এদিকে কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ কুয়েত নিউজ এজেন্সি (কুনা) জানায়, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দেয়া শর্তের জবাব কাতার গ্রহণ করেছে। কোন রকম বিবৃতি পাওয়া না গেলেও কাতার আল্টিমেটাম প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কুনা জানায়, কুয়েত আমির শেখ সাবাহ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ সৌদি আরবসহ কাতারকে বয়কটকারী অন্য তিনটি দেশ মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনকে তাদের আল্টিমেটামের সময় সীমা ৪৮ ঘণ্টা বাড়াতে বলেন।
কাতারের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কি নেয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী বুধবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে বৈঠকে বসবে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
কাতারের পক্ষ থেকে কোন অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া না গেলেও ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগে ইতালির রোমে সাংবাদিকদের কাছে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি বলেন, আলোচনার জন্য দোহা প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই। কিন্তু যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে সেসব বাস্তবায়ন অযোগ্য। প্রত্যাখ্যানযোগ্য জেনেই শর্তগুলো তৈরি করা হয়েছে।
কোনো সার্বভৌম দেশকে আলটিমেটাম দেওয়ার অধিকার কারও নেই বলেও উল্লেখ করেন কাতারের এই প্রভাবশালী মন্ত্রী। তার সাফ কথা, রিয়াদ ও তার মিত্রদের দাবি নাকচ করার পাল্টা প্রতিক্রিয়া নিয়ে কাতার ভীত নয়। কাতার সবরকমের পরিণতি মোকাবেলায় প্রস্তুত।
এছাড়া অবরোধ আরোপের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আল থানি বলেন, আইন লঙ্ঘন করা উচিত নয়। সীমালঙ্ঘনও উচিত নয়।
গত ৫ জুন কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে সমর্থনের অভিযোগ এনে সৌদি নেতৃত্বাধীন মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনসহ কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ কাতারের সঙ্গে সর্ম্পক ছিন্ন ও অবরোধ আরোপ করে। অবশ্য সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে দোহা।
কুয়েত এই উপসাগরীয় সংকট মোকাবেলায় মধ্যস্থতা করছে।
অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য মধ্যস্থতাকারী কুয়েতের মাধ্যমে গত ২২ জুন ১৩ দফা শর্ত বেঁধে দেয় আরবরা। ১০ দিনের মধ্যে শর্ত না মানলে নতুন করে অবরোধ আরোপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। রোববার (০২ জুলাই) রাত ছিলো আল্টিমেটামের ডেডলাইন।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- আল জাজিরা বন্ধ, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন ও কাতারে তুরস্কের সেনাঘাঁটি প্রত্যাহার,মুসলিম ব্রাদারহুড, হিজবুল্লাহ, আল-কায়দা ও আইএসআইএলসহ অন্যান্য মুসলিম গ্রুপের সঙ্গে সর্ম্পক ছিন্ন করা।
সংকটে পড়ার পর থেকেই কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান ও তুরস্ক।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৭
এমইউএম/আরআই