বুধবার (৫ জুলাই) মিশরের রাজধানী কায়রোতে বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশরের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাতারের কাছেও এ বিষয়ে সময়মতো একটি জবাব পাঠানো হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
সন্ত্রাসে মদদ এবং রিয়াদের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী তেহরানের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদির নেতৃত্বাধীন আট দেশ। পরে অবরোধ তুলে নেয়ার শর্ত হিসেবে ১৩ দফা বেধে দেয়া হয়।
১৩ দফা শর্তগুলোর মধ্যে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা বন্ধ, তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস করা ও কাতার থেকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি সরিয়ে দেওয়া অন্যতম। কিন্তু কাতার তাদের কোনো শর্ত মানতে রাজি না।
সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসনে কাতার আগ্রহ দেখালেও উপসাগরীয় দেশের কর্মকর্তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শর্তগুলো নিয়েও আলোচনার সুযোগ নেই।
শর্তারোপের পরপরই এসব প্রস্তাবগুলো অগ্রহণযোগ্য ও সমঝোতামূলক নয় বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেয় কাতার। এরপর শর্ত পূরণে আরও ২৪ ঘণ্টা বেঁধে দেয় আরবরা। কিন্তু কাতার তাদের আগের অবস্থানই জানিয়ে নিজেদের আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়।
কাতারের এমন আচরণে মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করে নেতারা বলেছেন, শর্তের ব্যাপারে কাতারের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় আরব দেশগুলো হতাশ।
আরবরাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাসবাদে মদদ ও আঞ্চলিক অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা বন্ধ না করলে কাতারের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রাখবে না।
এদিকে, বুধবার রাতে রাজধানী দোহায় জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েলের সঙ্গে বৈঠকের পর কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান আলে সানি আবারো জোর দিয়ে বলেছেন, সৌদি আরব ও তার মিত্ররা যেসব দাবি দিয়েছে তা মেনে নেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দাবিগুলো অবাস্তব এবং বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এসব দাবি আসলে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত নয় বরং কাতারের বাক-স্বাধীনতা বন্ধের চেষ্টা।
বাংলাদেশ সময় ০৭০৪ ঘণ্টা, ০৬ জুলাই, ২০১৭
এএম/আরএ