দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজিথা সেনারত্নে ও সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার রোশন সেনেভিরাথানার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এ কথা জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
মন্ত্রী সেনারত্নে বলেছেন, তারা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৪৫০ সেনাসদস্য মাঠে নামিয়েছেন।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রোশন বলেছেন, ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকা খুঁজে বের করতে এবং সেখানে কীটনাশক ছিটাতে তারা স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের সহায়তা করছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আপাতত রাজধানী কলম্বোর উপকণ্ঠে নেগোম্বো হসপিটালে কিছু কক্ষ স্থাপন করেছেন তারা।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, নজিরবিহীনভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় সরকারকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে কারণে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শ্রীলঙ্কান সংবাদমাধ্যম আরও জানাচ্ছে, কলম্বোসহ ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়া এলাকাগুলোর হাসপাতালসমূহে জ্বরাক্রান্ত রোগীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। অনেক রোগীর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা-সহায়তা দরকার পড়লেও পরিস্থিতির কারণে পর্যাপ্ত সেবা সবার কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য, এবার যে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে তাতে ২২৭ জনের প্রাণ গেছে। আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। চলতি বছরে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্ত বা প্রাণহারানো উভয়সংখ্যাই দ্রুতগতিতে বাড়তে পারে।
সরকারের তরফ থেকে ডেঙ্গু মশার আশ্রয়স্থল এলাকাগুলোতে ব্যাপক কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। কিন্তু সময় থাকতেই এ ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনার সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৭
এইচএ/