এ ইস্যুকে সামাল দিতে নিজ দেশের ভিতর কোণঠাসা অবস্থায় আছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক প্রতিবেদনে অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিলো।
রাশিয়ার সম্পৃক্ততার বিষয়টি এতদিন এড়িয়ে চললেও বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ট্রাম্প বলেছেন, ‘নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ থাকতে পারে। তবে এ কাজে শুধু রাশিয়া একা নয়, আরো দেশ জড়িত থাকতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, ‘এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কেউ কিছু জানে না। ’
শুক্রবার (৭ জুলাই) জার্মানির হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসার আগেই এমন বোমা ফাটালেন ট্রাম্প।
এদিকে ক্ষমতা গ্রহণের পর দ্বিতীয়বারের মতো বিদেশ সফররত ট্রাম্প পোল্যান্ডে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে। একের পর এক মিসাইল হামলার জবাবে দেশটির বিপক্ষে কিছু একটা পদক্ষেপ নিবেন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ঠিক কী সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা স্পষ্ট না করলেও তিনি উত্তর কোরিয়ার ‘খুব, খুব বাজে’ আচরণের বিপক্ষে সব দেশকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে যখন একাধিক তদন্ত চলছে তখন প্রথম পুতিনের সঙ্গে বৈঠককে ট্রাম্প কিভাবে সামাল দেন সে বিষয়ের দিকেই বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার একক কর্তৃত্বশালী নেতার নির্দেশেই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা হয়েছিলো। এ নির্বাচনেই ট্রাম্প গদিতে আসীন হন।
এর আগে যতবারই ট্রাম্পের বিজয়ের পেছনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে তা জোর গলায় প্রত্যাখান করে এসেছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবারের বক্তব্যেও সে ‘পলায়নপরতা’র ছাপ ছিলো।
অস্থির কন্ঠে ট্রাম্প বলেন, এটা হতে পারে রাশিয়ার কাজ, সম্ভবত রাশিয়া করেছে, কার্যত রাশিয়া হতে পারে। আবার অন্য দেশগুলোও এতে জড়িত থাকতে পারে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারবো না।
‘অনেকেই এ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। আর দীর্ঘ সময় ধরেই এটা হয়ে আসছে। ’
তবে বিষয়টি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন কিনা তা খোলাসা করেননি তিনি।
নিবার্চনে সাবেক উত্তরসূরী ওবামার ভূমিকারও সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ওবামা মস্কোকে হস্তক্ষেপের সুযোগ দিয়েছেন। যদিও ওবামা প্রশাসন প্রকাশ্যে ও আলাদাভাবে নির্বাচনের আগে হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে রাশিয়াকে সতর্ক করেছে, তবুও প্রশ্ন থেকে যায় রাশিয়ার এ হুমকি মোকাবেলায় তার ভূমিকা কী যথেষ্ট ছিলো?
ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি ওবামা ভেবেছিলেন হিলারি ক্লিনটন জিতে যাবেন। তাই হয়তো আমাদের এ বিষয়ে কিছুই জানতে দেননি।
‘নির্বাচনের কয়েকমাস আগেই সিআইএ ওবামাকে জানিয়েছিল ‘হস্তক্ষেপ’ করা হতে পারে। এখানে ভুল ঘটনা ঘটেছে,’ যোগ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে এ রকম অভিযোগ আগেও করেছেন ট্রাম্প। তবে বিদেশের মাটিতে এই প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গোয়েন্দাদের তথ্য নিয়ে এ ধরনের সন্দেহ ঝাড়লেন ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৭
জিওয়াই/এমএ