ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

তুরস্ক-ইউরোপীয় ইউনিয়নে চাপা উত্তেজনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৭
তুরস্ক-ইউরোপীয় ইউনিয়নে চাপা উত্তেজনা

তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে নাকি থাকবে না, তা নিয়ে কথা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। আলোচনা, শর্ত, যুক্তি সবকিছু ছাপিয়ে বিষয়টি এখন অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। গোল বেঁধেছে এ বছরের এপ্রিলে সংবিধানের ধারা পরিবর্তনের জন্য তুরস্কের গণভোট নিয়ে। এ রদবদলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিসেফ তায়েপ এরদোগানের ক্ষমতা বাড়বে। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আঙ্কারা যদি এপ্রিলের গণভোটের আলোকে সংবিধানে পরিবর্তন আনে তাহলে দেশটির ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে যে সংলাপ হবে তা বাতিল করা হবে।  

এদিকে তুরস্কও জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার জন্য যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাখান করেছে দেশটি।

এর চাইতে বরং অন্য ক্ষেত্রে সহযোগিতায় মনযোগ দিচ্ছে তারা।

এক বছর আগে তুরস্কে সংঘটিত ব্যর্থ অভ্যুত্থানের আগে ও পরে এরদোগানের কর্তৃত্ব ও বিরোধীদের প্রতি তার আচরণের সমালোচনা করে আসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতারা। গ্রিসে অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে গত বছর তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় নেতারা যে চুক্তি করেছিল সেটাকে হালকভাবে নিচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন।  

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বৃহস্পতিবারের প্রস্তাবনায় বলা হয়, সমঝোতার জন্য যে রূপরেখা তৈরি করা হয়েছিল সে অনুসারে তুরস্ক যদি তাদের সংবিধান পরিবর্তনে অনড় থাকে ও তা বাস্তবায়ন করে তাহলে দেশটির ইইউ অন্তর্ভুক্তি সংলাপ আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করতে হবে।  

তুরস্কের সংবিধান বদলে কর্তৃত্ব বেড়েছে এরদোগানের। তিনি এটাকে দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন।  

তবে বিরোধীরা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর সমালোচনা করে বলেছে, সংবিধান পরিবর্তন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্থ করবে এবং দেশকে একনায়কতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৭
জিওয়াই/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।