ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘কিছু যদি হয়ও, ক্ষমার এখতিয়ার আছে আমার’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
‘কিছু যদি হয়ও, ক্ষমার এখতিয়ার আছে আমার’ ট্রাম্পের কি আসলে ক্ষমার এখতেয়ার আছে?

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপের অভিযোগের প্রসঙ্গটি যেন পিছু ছাড়ছে না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। বিষয়টি নিয়ে ঘরে-বাইরে তোপের মুখে তিনি। সে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন শনিবারের (২২ জুলাই) ডজনখানেক টুইটে।

নিজের ক্ষমতার পরিধি জানান দিয়ে ট্রাম্প হুংকার ছাড়েন এই বলে যে, যদি কিছু হয়ও, প্রশাসনের সহকর্মী, পরিবারের সদস্য এমনকি নিজেকেও প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতাবলে তিনি ক্ষমা করে দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন।

২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল ও সাবেক সিনেটর জেফ সেশন্সের রিপাবলিকান শিবিরের হয়ে রাশিয়ার এক কর্মকর্তার সঙ্গে গোপন যোগাযোগের অভিযোগ তুলে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনেরও কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প।

প্রতিবেদনটিকে ‘নতুন অবৈধ গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের দৃষ্টি এড়াতে রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা হিসেবে প্রেসিডেন্সিকে খাটো করা হচ্ছে।  

ট্রাম্প প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতাবলে কিভাবে নিজেসহ সবাইকে ক্ষমা করা যায়, এ নিয়ে পরামর্শ করতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন—ওয়াশিংটন পোস্টে এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই টুইট-বর্ষণ করেছেন প্রেসিডেন্ট।

কিন্তু ট্রাম্পের এই বৈঠক সম্পর্কে অবগত দুই বিশেষজ্ঞের মত, ট্রাম্পের আইনি পরামর্শকরা প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমার যে বিষয়টি আলোচনা করেছেন, তার পুরোটাই তত্ত্বীয়। বাস্তবতা হলো- রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ পরামর্শক রবার্ট মুলারের চলমান তদন্তের মুহূর্তে ট্রাম্প যদি নিজেকে ক্ষমার ঘোষণা দিয়ে বসেন, তাহলে তা রাজনীতিতে বিতর্কের আরেক নতুন ঝড় তুলবে। অভিযোগটিই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।