করাচি: পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যার পর পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্রর অভাবে খোলা আকাশে নিচে দিন কাটাচ্ছে গ্রাম ও শহরের অন্তত ৪৬ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের তথ্যমতে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ খোলা আকাশের নিচে তাঁবু ও পলিথিনের ঝুপড়ি বানিয়ে বাস করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই বিপুল জনগোষ্ঠীর মাথা গোঁজার ঠাঁই সমস্যার সমাধানের জন্য কয়েক বছর সময় লাগবে।
পাকিস্তানে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ডুবে যায় দেশটির এক-পঞ্চমাংশ। আর এ বন্যায় ঘরবাড়ি, ফসল হারিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশটির দুই কোটিরও বেশি মানুষ। ফলে সেখানে অবর্ণনীয় ক্ষতির মুখে পড়েছে অর্থনীতি, প্রভাবিত হয়েছে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
দেশটির অর্থনীতিবিদ এবি শহিদ এএফপিকে বলেন, ‘এটা বড় আকারের বিপর্যয়। এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে প্রচুর সময় ও অর্থের প্রয়োজন। কিন্তিু বর্তমান পরিস্থিতি খুবই ঘোলাটে। আমাদের রাজনীতিকরা এই গুরুতর অবস্থা কিছুতেই উপলব্ধি করতে পারছেন না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বন্যায় ঘরবাড়ি হারানোদের মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করে দিতে আমাদের অন্তত তিন শ’ কোটি ডলার প্রয়োজন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, সেতু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুনরায় নির্মাণ করতে যে খরচ হবে তা সাত শ’ কোটি ডলারের কম নয়। ’
এরইমধ্যে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাস্তাঘাট, সেতু, বসতবাড়ি, বিদ্যালয় ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আবারো নির্মাণ করতে দুই শ’ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংক এ কাজে ৯০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১০