ভিনিয়ার্ড হেইভন: ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আবারও প্রত্যক্ষ আলোচনা শুরুর বিষয়টিকে কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে স্বাগত জানানো হচ্ছে। সুপরিচিত প্রতিবন্ধকতার কারণে আলোচকরা যেখানে সবসময়ই বিষয়টি এড়িয়ে চলতেন, সেখানে মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কারণেই এতে গতি এসেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
মার্থার ভিনিয়ার্ড থেকে ওবামার সন্ত্রাসবিরোধী পরামর্শক জন ব্রিনান বলেন, ‘এ আলোচনার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। ’
শুক্রবারই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন আলোচনার বিষয়টি ঘোষণা করেন। এ দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্রিনান আরও বলেন, ‘এ আলোচনা সফল হবে, এ বিশ্বাস নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। ’
এর অংশ হিসেবেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য এক বছর মেয়াদী আলোচনার উদ্দেশ্যে ২ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ওয়াশিংটনে সাক্ষাৎ করবেন।
এ সম্মেলনকে ওবামার জন্য কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে, যেখানে প্রশাসনিক লক্ষ্যের অংশ হিসেবে তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব সমাধানের চেষ্টা করছেন।
এদিকে শুক্রবারের ঘোষণায় শুধু জেরুজালেম ও ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সীমানা নির্ধারণের মত সবচেয়ে জটিল ইস্যুগুলো উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়টি স্বীকার করে ব্রিনান বলেন, ‘এরপরও এমন আরও অনেক ইস্যু আছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’
উল্লেখ্য, ইসলায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ই জেরুজালেমকে তাদের দেশের রাজধানী বলে দাবি করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১০