শাদাতকোট: পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। ওই অঞ্চলের চার জেলা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
দশকের ভয়াবহ এবারের বন্যায় অন্তত ১ হাজার ৬শ’ মানুষ নিহত হয়েছে। চার লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামীণ জনপথ, সেতু ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে কিছুদিনের মধ্যে সারা দেশ থেকে বন্যার পানি কমে যাবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এপিপি একথা জানায়।
এদিকে লাখ লাখ বন্যা দুর্গত সরকারের কাছে প্রাকৃতিক এ দুর্যোগে হারানো গবাদি পশু ও ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষতিপূরণসহ পুর্নবাসনের আশা করছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকার খুব ধীরগতিতে চলছে বলে তারা অভিযোগ করছেন।
অন্যদিকে কিছু মুসলিম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো খুব দ্রুততার সঙ্গে পুণর্বাসন কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। এসব সংগঠনের সঙ্গে জঙ্গিদলগুলোর সংশ্লিষ্টতা আছে বলে কেউ কেউ সন্দেহ করছে।
তবে কিছু উন্নয়ন প্রকল্প বাতিল করে এ সম্পদ বন্যার ত্রাণ ও পুর্ণগঠনের কাজে লাগানো হবে বলে পাকিস্তানী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তা বাস্তবায়িত হলে সরকার জনগণের সমর্থন লাভে সফল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে পাকিস্তানের প্রায় পাঁচ হাজার স্কুলের অপরিচ্ছন পরিবেশ ও দুর্বল স্যানিটেশন ব্যবস্থায় বন্যা দুর্গত অর্ধলাখ মানুষ বসবাস করছে। এ কারণে দুর্গতরা কলেরার মত পানিবাহিত রোগের ঝুঁকিতে আছেন।
এদিকে বন্যার কারণে ব্যাপকভাবে কৃষি ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে দীর্ঘ মেয়াদে দেশটির অর্থনৈতিক ভীত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও সম্ভবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১০