একই সঙ্গে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মুদি দোকান থেকে শুরু করে হকার্স, কোনো মার্কেটই খোলা নেই।
এমনকি গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় কেউ অসুস্থ হয়ে গেলেও তাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে বিপাকে পড়দে হচ্ছে স্থানীয়দের।
অনিল কুমার দাস, একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কর্মী, গত জুন থেকে বেতন পাচ্ছেন না তিনি। জুনের ১৫ তারিখ থেকে পাহাড়ে হরতাল মুরু হওয়ায় অন্যান্য দোকান-পাট কিংবা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধের দিনই তার স্টোরটি বন্ধ হয়ে যায়। কখন সেটি পুনরায় চালু হবে ও কবে তার বেতনের চেক হাতে পাবেন তা জানেন না।
তিনি বলেন, আমার ভাই অসুস্থ। এরই মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ঋণ করে ভেলুরে তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। আমি আমার ছেলেকে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করাতে চাই। কিন্তু এর টাকা কোথায় পাবো তা জানি না। অচলাবস্থার ১০০ দিন পর দার্জিলিংয়ের মানুষের কোনো কাজ নেই, চারদিকে শুধু বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা।
এদিকে প্রতিদিন হরতালের সমর্থনে তেমন কোনো কর্মসূচি থাকে না। প্রায় সময় গোর্খাল্যাল্ডের দাবিতে সকালে মিছিল করেই ক্ষ্যান্ত দেন হরতালকারীরা।
গত ১০০ দিনে কোনো ক্রেতা পাননি ব্যবসায়ী নির্মল শর্মা। বাধ্য হয়ে নিজের জমানো টাকা ভেঙে ভেঙে খাচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। শুধু নির্মল শর্মাই নন, তার মতো পাহাড়ের অধিকাংশ মানুষই নিজের জমানো সঞ্চয় খরচ করে দিনাতিপাত করছেন।
বড় হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ খাবার হোটেল ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিতে পড়েছেন। তবে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ডাকা হরতালে তাদের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ।
লাদেন তামাং নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা কখনও গত তিনমাসের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবো না। কিন্তু আমরা যদি এই দোকানপাট খুলতে পারি তবে অন্তত ঠিকে থাকতে পারবো।
তবে পৃথক রাজ্যের দাবিতে ডাকা হরতালে তার সমর্থন রয়েছে বলে জানালেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এমএ/