সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বিষয়টি জানা গেছে।
বিবৃতি প্রসঙ্গে মালয়েশীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী দাতু আনিফা আমান বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে এই বিবৃতির কোনো সম্পর্ক নেই।
‘এই বিবৃতি থেকে মালয়েশিয়া নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে,’ যোগ করেন দেশটির ক্ষুব্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রকাশ্যে এ ধরণের বিদ্রোহমূলক আচরণ আসিয়ান জোটের কোনো সদস্য দেশের এটাই প্রথম। সম্প্রতি রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে ১০ জাতির জোটটির সভাপতি ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালান কেইটানো যৌথ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সহিংসতার পাশাপাশি নিন্দা জানানো হয় মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার।
কিন্তু বিবৃতিতে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি বা তাদের ওপর নির্যাতনের কথাও উল্লেখ করা হয়নি। আর এতেই বেজায় ক্ষেপেছে মালয়েশিয়া।
আরও পড়ুন>>
** ‘মিয়ানমার দিয়েছে গুলি, বাংলাদেশ দিচ্ছে খাবার’
দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, মালয়েশিয়ার বক্তব্য পুরোপুরি অগ্রাহ্য করেছেন জোট সভাপতি।
এদিকে এই সংস্থার কোনো যৌথ বিবৃতি থেকে সদস্য দেশের প্রত্যাহারের ঘটনা এটাই প্রথম বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের শাহরিমান লোকমান।
তিনি বলেন, আসিয়ান জোটে যে অস্বস্তি ও অসন্তোষ শুরু হয়েছে মালয়েশিয়ার এই আচরণ তার বহিঃপ্রকাশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
এমএ