মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ভোরে শ্রীনগর এয়ারপোর্ট লাগোয়া ওই ক্যাম্পে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে এই হামলা চালানো হয়। এর দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জয়শ ই মোহাম্মদের ‘আফজাল গুরু’ স্কোয়াড।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সন্ত্রাসীরা প্রথমে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে, এরপর বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। দুপুর পর্যন্তও থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। বিএসএফের শীর্ষ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এয়ারপোর্ট লাগোয়া বিমান বাহিনীর একটি স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত ওই ক্যাম্পের পাহাড়ি দেয়ালের আড়ালে লুকিয়ে আছে আরও একাধিক সন্ত্রাসী। তাদের প্রতিহত করতে ঘটনাস্থলে বিভিন্ন বাহিনী কাজ করছে।
একজন কর্মকর্তা জানান, ভোর পৌনে ৪টার দিকে ৪-৫ জন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর পোশাক পরে ছদ্মবেশে বিএসএফের চার স্তরের নিরাপত্তা ভেঙে ওই ক্যাম্পে হামলা চালায়। তারা নির্বিচারে গুলি ছুড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বোমার বিস্ফোরণও ঘটাতে থাকে। পরে বিএসএফ জওয়ানরা পাল্টা গুলি চালালে তিন হামলাকারী নিহত হয়। খুঁজে পাওয়া যায় ওই জওয়ানের মরদেহ।
চার স্তরের নিরাপত্তা ডিঙিয়ে সন্ত্রাসীরা কীভাবে ক্যাম্প পর্যন্ত চলে এলো সে বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, ঘটনাস্থলে কুইক অ্যাকশন টিম ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সদস্যরা ছুটে গেছেন। হামলাকারীদের কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে।
হামলার পর শ্রীনগর এয়ারপোর্টের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এমনকি এয়ারপোর্টমুখী সড়কগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে নয়াদিল্লি প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এইচএ/