স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্যাট্রিক মারফি কংগ্রেসের কমিটিকে ব্রিফিংকালে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র বিষয়ক এই ব্রিফিংয়ে মারফি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যে নির্বিচার অভিযানের কারণে অর্ধমিলিয়ন বা ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমকে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে হয়েছে, সে অভিযান অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং সেখানে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের ঢোকার সুযোগ তৈরি করতে পারে।
তবে এই নিন্দিত পদক্ষেপের কারণে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলেননি ওয়াশিংটনের এই মুখপাত্র।
জাতিসংঘের তরফ থেকে অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ বলা হলেও এমন বাক্য এড়িয়ে গিয়ে মারফি বলেন, এটি ‘মানবিক ট্র্যাজেডি’।
যদিও কংগ্রেসের সদস্যরা তার এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হয়ে নিজেরাও পরিস্থিতি সম্পর্কে বর্ণনা দেন। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের রিপাবলিকান কমিটির চেয়ারম্যান সঙ্গে যুক্ত করেন, আমরা দেখেছি, সেখানে পুরোপুরি জাতিগত নির্মূল অভিযান চলছে।
২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্য প্রসঙ্গে মারফি বলেন, অর্ধমিলিয়ন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গৃহহারা অবস্থায় বাস করছে ২ লাখ রোহিঙ্গা। নাইপিদো সরকার সেখানে অভিযান বন্ধের দাবি করলেও এখনও রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ-লুটপাট এবং মানবিক সহায়তায় বাধা দেওয়ার খবর আসছে।
শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযানের নিন্দা জানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে আসছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের মতো যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, পরিস্থিতি এখনই সামাল না দিলে সামনে আরও বিপর্যয় তৈরি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৭
এইচএ/