তিনি জানান, শরণার্থী বিষয়ক পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বর্তমান রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং এটি সমাধানে জাতিসংঘের যা করণীয় তা তারা করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে এ বিষয়ে তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার নিশ্চয়তা দেন।
সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনের হাই লেভেল সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার আলাপচারিতার কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেছেন, এতো রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তার জন্য কৃতজ্ঞতা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদফতরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অর্থমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ চান। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবনা অনুযায়ী ‘সেফ জোনের’ কথাও বলেন।
একইসঙ্গে মুহিত বাংলাদেশের উন্নয়ন গতিধারার কথা তুলে ধরেন।
মহাসচিবের কার্যালয়ে অর্থমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিউল আজম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম ও বাংলাদেশ মিশনের ইকোনমিক মিনিস্টার ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনসহ ছয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।
এর আগে অর্থমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদফতরে ইউএন-ওএইচআরএলএলএস-এর প্রধান ও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মিজ্ ফেকিতামইলোয়া কাতোয়া ইউটোইকামানুর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে বাংলাদেশসহ স্বল্প উন্নত দেশগুলোর পরবর্তী ধাপে উত্তরণের বিষয় প্রাধান্য পায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
আইএ