এদের আটক করে বুধবার (১১ অক্টোবর) ভোরে পশ্চিম-দক্ষিণের অ্যারিজোনার নির্বাসন কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশগামী বিশেষ ফ্লাইটে জোরপূর্বক তুলে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ১০ জনই নিউইয়র্কের বাসিন্দা ছিলেন।
ফেরত বাংলাদেশিরা হলেন- নাসরিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আম্বিয়া, খায়রুল আম্বিয়া, সেলিম আহমেদ, মোজাম্মেল হক, করিম চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, বাবলু শরিফ, মোহাম্মদ বাদল রনি, মোহাম্মদ ফরিদুল মওলা ও মনিরুল ইসলাম।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বৈধ নথিপত্রহীন অভিবাসীদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। সেই ধরপাকড়েই সম্প্রতি এই ১১ জনকে আটক করা হয়। জানা গেছে, এভাবে ধরপাকড়ের শিকার হয়ে দুই নারীসহ আরও ২৭ বাংলাদেশি বিতাড়িত হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।
বিতাড়িত বাংলাদেশিদের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, অভিবাসীদের আটকের পর মার্কিন অভিবাসন বিভাগ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের দ্রুত পাসপোর্ট দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী বা তাদের পরিবারের আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার আগেই বিতাড়ন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাচ্ছে।
স্বজনরা বলছেন, নথিপত্রহীন অভিবাসীদের আটক করে তাদের পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট চাওয়া হলে দূতাবাস বা কনস্যুলেট নিজেদের নাগরিক কি-না, তা যাচাইয়ে সময় নিতে পারে, এতে আটক ব্যক্তিরা আইনের সহায়তা নিতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এইচএ/