গত রোববার (০৮ অক্টোবর) থেকে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে সবশেষ খবর পর্যন্ত পুড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার একরেরও বেশি এলাকা। ধ্বংস হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার ঘরবাড়ি।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে অন্তত ৮ হাজার অগ্নিনির্বাপক কর্মী নিরলস কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উপর থেকে পানি ছিটানো হচ্ছে।
দাবানল ভয়াবহ আকার নিয়েছে ওয়াইন উৎপাদনের কাউন্টি সোনোমা, নাপা ও মেনডোসিনোতে। মূলত এসব এলাকাতেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে সোনোমাতে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ জন মেনডোসিনোতে।
দাবানলের সবশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৩৩ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের গ্রিফিথ পার্কের দাবানলের চেয়েও এবারের অবস্থা আরো ভয়াবহ। সে সময় দাবানলে ২৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।
রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা সার্ভিসের পরিচালক মার্ক গিলারডুচ্চি জানিয়েছেন, তীব্র বাতাসের কারণে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সপ্তাহজুড়ে বাতাসের তীব্রতা অব্যাহত থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে দাবানল ভয়াবহ রূপ নিলেও ঠিক কি কারণে এটি সৃষ্ট হয়েছে তার প্রকৃত কারণ এখনও খুঁজে পাচ্ছেন না কর্মকর্তারা। তারা ধারণা করছেন, তীব্র বাতাসে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে আগুন লেগে তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী ক্যালিফোর্নিয়া হাইওয়ে পেট্রোলের ক্যাপ্টেন মাইক প্যালাসিও বলেন, দমকলকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন দাবানল নিয়ন্ত্রণের। কিন্তু এর ভয়াবহতার কাছে আমাদের প্রচেষ্টা তুচ্ছ প্রমাণ হচ্ছে। আমরা জনগণকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছি। যেন আটকে পড়া শেষ মানুষটিকেও বাঁচাতে পারি।
‘এটা ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগগুলোর একটি হতে চলেছে। আমরা এখন কেবল মানুষকে উদ্ধারে মনোযোগ দিচ্ছি। কিন্তু দমকা হাওয়া দমকলকর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এরইমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার জন্য দুর্যোগকালীন সহায়তা সংক্রান্ত একটি তহবিলে সই করেছেন। প্রেসিডেন্ট এই দুর্যোগে কেন্দ্র সরকারের সর্বোত সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
জেডএস