সান্তিয়াগো: ১৭ দিন ধরে খনির অভ্যন্তরে আটকে পড়া চিলির ৩৩ জন শ্রমিকের বেঁচে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বের করে আনতে কয়েক মাস সময় লাগবে।
প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা জানান, চিলির উত্তরে সোনা এবং কপারের খনিতে গত ৫ আগস্ট থেকে আটকে পড়া শ্রমিকরা একটি কাগজের টুকরো উদ্ধারকারীদের ব্যবহৃত ছিদ্রকারী ড্রিল মেশিনের সঙ্গে তাদের জীবিত থাকার কথা জানায়।
পিনেরা আটকে পড়া খনি শ্রমিকদের লাল কালিতে লেখা বার্তাটি টেলিভিশনে দেখান। কাগজটিতে লেখা রয়েছে, “আমরা ৩৩ জনের সবাই ভালো আছি। ” প্রায় সাড়ে চার মাইল মাটির নিচে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানান প্রেসিডেন্ট।
লেন্সের মাধ্যমে আটকে পড়াদের পর্যবেণ করছেন উদ্ধারকারীরা। তারা জানিয়েছেন, ধারণার চেয়েও শ্রমিকরা ভালো আছে। তবে খনির ভিতরে অতিরিক্ত গরমের কারণে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
আটকে পড়া শ্রমিকদের বেঁচে থাকার খবরে তাদের আত্মীয়স্বজনরা এতিহ্যবাহী নাচ-গানে আনন্দ উল্লাস করছেন। প্রায় দুই শতাধিক মানুষ রাজধানী সান্তিয়াগোতে পতাকা উত্তোলন করে শ্রমিকদের বেঁচে থাকার খবরটি উদযাপন করছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের খাবারের মজুদ সীমিত। ডাক্তাররা শ্রমিকদের জন্য অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি ওষুধ, গ্লুকোজ এবং খনিজ পানীয় সরবরাহ করতে বলেছেন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রত্যেক শ্রমিক ৮ থেকে ৯ কেজি ওজন হারাতে পারে।
কোপিয়াপো শহরের এই খনি থেকে তাদের উদ্ধার করতে নতুনভাবে একটি সুড়ঙ্গ খুঁড়তে হবে। উদ্ধারকারীরা বলেছে, “এজন্য আমাদের প্রায় ১২০ দিন সময় লাগবে। ”
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, ২৩ আগস্ট, ২০১০