ওয়াশিংটন: আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের একজন সহকারীর বিরুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
ওই সহকারীর নাম মোহাম্মদ জিয়া সালেহি। তিনি আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি সিআইএর কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আসছেন। তাঁর নাম গোয়েন্দা সংস্থাটির বেতন তালিকায় পাওয়া গেছে।
ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে আফগান সরকারের দুর্নীতি দূর করবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেননা, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এ ধরনের রাজনীতিবিদ এবং নেতারাই দেশটিতে মার্কিন অভিযানকে সমর্থন দিয়ে থাকে।
টেলিফোনে আড়িপেতে গত জুলাই মাসে সালেহীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখানে আফগান নেতাদের অর্থ দেওয়া, মাদক চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদ সন্দেহে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন তদন্ত বাতিল করতে ঘুষ দেওয়া ইত্যাদি দুর্নীতির কথা জানা যায়।
অথচ, গ্রেপ্তার হওয়ার মাত্র সাত ঘণ্টার মধ্যে কারজাইয়ের মধ্যস্থতায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির ব্যাপারে সিআইএর ভূমিকার ব্যাপারটি সংবাদপত্রটি না বললেও মূলত সরকারের ভেতরকার তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা থেকেই কারজাই সালেহির মুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতা করেন বলে ধারণা করা হয়।
তবে দুনীর্তির অভিযোগ ও দেশটির বড় আকারের তহবিলের জন্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত তিনিই প্রথম ব্যক্তি নন। আফগানিস্তানের বড় আকারের আফিম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং সিআইএর কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার জন্য কার জাইয়ের সৎভাই আহমেদ ওয়ালি কারজাইও তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে অভিযুক্ত।
সালেহি ও আহমেদ ওয়ালি কারজাইয়ের মতো লোকদের সঙ্গে সিআইএর সম্পর্কের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও প্রশাসনের জন্য আশঙ্কার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। কেননা, এ পরিস্থিতিতে সরকারের ভেতরকার দুর্নীতি উৎখাত নাকি আরও মার্কিন হস্তেেপর মাধ্যমে আফগানিস্তানকে স্থিতিশীল করা হবে তা নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১০