ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিনোদনকেন্দ্র ট্রাজেডি: বিক্ষোভে উত্তাল সাইবেরিয়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
বিনোদনকেন্দ্র ট্রাজেডি: বিক্ষোভে উত্তাল সাইবেরিয়া কেমেরোভো শহরে শোকার্ত মানুষের বিক্ষোভ। ছবি-সংগৃহীত

বিনোদনকেন্দ্রে আগুন লেগে ৪১ টি শিশুসহ কমপক্ষে ৬৪ জন মানুষের জীবন্ত পুড়ে মরার ঘটনায় গোটা রাশিয়া, বিশেষ করে সাইবেরিয়া অঞ্চল, এখন বিক্ষোভে উত্তাল।

কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে কেমেরোভো শহরের শপিং মল কাম বিনোদনকেন্দ্রটির ফায়ার অ্যালার্ম অকেজো পড়েছিল। আর বেরোবার সব পথও তারা রেখেছিলেন তালাবন্ধ করে।

  সেজন্য সবার ক্ষোভ মাথামোটা কর্মকর্তাদের উপর। এ নিয়ে সাইবেরিয়াসহ গোটা রাশিয়া এখন বিক্ষোভে কাঁপছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বলেছেন রোববারের কেমেরোভো ট্রাজেডি ‘দুর্বৃত্তদের গাফিলতির ফল’।

সংবাদ মাধ্যমগুলো রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে সাইবেরিয়ার বিভিন্ন শহরে কর্মকর্তাদের গাফিলতিজনিত এই ভয়ানক বিয়োগান্ত ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন। খোদ কেমেরোভো শহরে শোকার্ত হাজার হাজার মানুষ আহত ও নিহতদের ছবি-হাতে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ জানায়। এসময় অনেককে আগুনে পুড়েমরা শিশুদের ছবি-হাতে আকুল কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার শহরটির শোকার্ত মানুষের সঙ্গে সংহতি জানাতে, সমবেদনা নিয়ে শোকার্তদের পাশে দাঁড়াতে কেমেরোভোতে গিয়ে হাজির হন। তিনি সেখানে গিয়ে নিহত মানুষদের স্মৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। তবে জনসমক্ষে হাজির হননি পুতিন।

সরকারিভাবে নিহতদের সংখ্যা ৬৪ জন বলা হলেও কেমেরোভোর বাসিন্দারা দাবি করেছেন, মারা যাওয়াদের প্রকৃত সংখ্যা এরচে ঢের বেশি। সরকার এ নিয়ে লুকোছাপা করছে।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সুবিশাল বিনোদনকেন্দ্রটিতে যখন আগুন লাগে তখন অ্যালার্ম ছিল অকেজো (কারো কারো মতে, অ্যালার্ম সুইচ অফ করা ছিল), ইমার্জেন্সি এক্সিটও (জরুরি নির্গমনপথ) বন্ধ করা ছিল। তবে আগুন লাগার কারণ তারা এখনও জানাতে পারেননি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬ ২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮

জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।