ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মোদীর ‘বরফগলা’ সফরে ‘নবযুগ’ সূচনার ডাক জিনপিংয়ের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৮
মোদীর ‘বরফগলা’ সফরে ‘নবযুগ’ সূচনার ডাক জিনপিংয়ের নৈসর্গিক পরিবেশে ঘুরতে ঘুরতেই আলাপ সারেন নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিং

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দু’দিনের চীন সফরকে ‘একান্ত ঘরোয়া’ বলছে নয়াদিল্লিভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো। এটিকে ‘বরফগলা’ সফরও বলছে কিছু সংবাদমাধ্যম। এই ‘ঘরোয়া বরফগলা’ সফরে সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি না থাকলেও বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মোদী। আর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে নয়াদিল্লি-বেইজিং সম্পর্কে ‘নবযুগ’ সূচনার ডাক দিয়েছেন জিনপিং।

দু’দিনের সফরে শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চীনের মধ্যাঞ্চলের হাবেইয়ের উহান প্রদেশে পৌঁছালে স্থানীয় সংস্কৃতির ছন্দে মোদীকে অভ্যর্থনা জানান জিনপিং। দেওয়া হয় লালগালিচা সংবর্ধনা।

এরপর দুই নেতা যান ৪৩৩ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের এক রাজার সমাধি দেখতে। তারা একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও পাশাপাশি বসে দেখেন। বসেন বৈঠকেও। পাশাপাশি আরও একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেন।

শনিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে নৌবিহার উপভোগ করেন দুই নেতা। তাদের সকালটা শুরু হয় ‘চায়ের আড্ডায়’। সেই আড্ডায় মোদী কথা বলেন দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে। এসময় দুই নেতাই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে দু’পক্ষের শীর্ষ সামরিক পর্যায়ে সংলাপে অগ্রগতি আনতে সহমত। দুই নেতাই মনে করেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিমত থাকলেও ভারত ও চীন দু’পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করার মতো পরিণত ও প্রজ্ঞাবান। এসময় শি জিনপিং দু’পক্ষের সম্পর্কে ‘নবযুগ’র সূচনার ডাক দেন।

সীমান্তের দুকলাম মালভূমিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বছরের মাঝামাঝিতে তুমুল উত্তেজনায় জড়ায় ভারত-চীন। দু’পক্ষই ব্যাপক সৈন্য-সামন্ত জড়ো করে সীমান্তে। তবে নয়াদিল্লি-বেইজিং পরে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনার ইতি টানে। সেই পরিস্থিতির পর বিশ্ব ফোরামে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয় মোদী ও জিনপিংয়ের। এবার সরাসরিই চীনে চলে গেলেন মোদী।  

ফেরার আগে জিনপিংকে আগামী বছর একই ধরনের ‘ঘরোয়া’ ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে মোদী বলেন, বিশ্বের ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবেই ভারত ও চীনকে বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৮
এইচএ/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।