ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

স্মরণকালের ভয়াবহ পানি সংকটে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
স্মরণকালের ভয়াবহ পানি সংকটে ভারত পানি সংকট/ছবি: সংগৃহীত

স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ পানি সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত। বর্তমানে দেশটির ৬০ কোটি মানুষ চরম পানি সংকটের সম্মুখীন। পর্যাপ্ত সুপেয় পানির অভাবে প্রতিবছর মারা পড়ছেন দুই লাখ মানুষ।

শুক্রবার (১৫ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটউট অব ট্রান্সফরমিং ইন্ডিয়া (এনআইটিআই) আয়োগ।  

এনআইটিআই রিপোর্টে আরও বলা হয়, পানি সংকট আরও তীব্রতর হচ্ছে।

বর্তমানে ভারতে পানির চাহিদা ২০৩০ সাল পর্যন্ত সরবারহ করা পানির দ্বিগুণ। যে কারণে কয়েক কোটি মানুষ তীব্র পানি সংকটে ভুগছে। এছাড়া প্রতিবছর জিডিপির ক্ষতি হচ্ছে ৬ শতাংশ।  

‘যৌথ পানি ব্যবস্থাপনা সূচক’ শিরোনামে এই রিপোর্ট উন্মোচন করেন ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রী নিতিন গাদকারি। রিপোর্টে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২১টি প্রধান শহরে ২০২০ সালের মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানি শেষ হয়ে যাবে। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অন্তত ১০ কোটি মানুষ।

বিভিন্ন স্বাধীন সংস্থার মাধ্যমে রিপোর্টের এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ পানি দূষিত। যে কারণে পানিসূচকে ১২২টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১২০তম।

নীতি আয়োগ ভারতের সকল প্রদেশের সূচক অবস্থান প্রকাশ করেছে। ২৮ টি নির্দেশকের মাধ্যমে ৯ টি বৃহৎ ক্ষেত্রে এই সূচক প্রকাশ করা হয়। ভূ-গর্ভস্থ পানি, সুপেয় পানি, চাষাবাদ, নীতি এবং শাসনপদ্ধতি প্রভৃতির মাধ্যমে ২৮ টি নির্দেশেকের মাধ্যমে এই রিপোর্ট তৈরি করে নীতি আয়োগ।  

এনআইটিআই সূচকে মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ প্রদেশ, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রের মধ্যে গুজরাট ভালো অবস্থানে রয়েছে। উত্তর ও হিমাচল প্রদেশগুলোর মধ্যে ত্রিপুরার অবস্থান ভালো। এরপর রয়েছে হিমাচল প্রদেশ, সিকিম ও আসাম।

খারাপ অবস্থানে রয়েছে বৃহত্তর জনসংখ্যার উত্তর প্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, হরিয়ানা। এই রাজ্যগুলোতে ৬০ কোটির বেশি মানুষের বসবাস। ভারতের কৃষিতে এই প্রদেশগুলোর অবদান ২০ থেকে ৩০ শতাংশ।

রিপোর্টিতে আরও বলা হয়, এই প্রদেশগুলোর খারাপ অবস্থা পানি ব্যবস্থাপনা সংকটের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।