ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গুহায় শিশুদের অক্সিজেন দিতে গিয়ে প্রাণ গেল ডুবুরির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১২ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৮
গুহায় শিশুদের অক্সিজেন দিতে গিয়ে প্রাণ গেল ডুবুরির সংগৃহীত ছবি

থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া খুদে ফুটবলারদের অক্সিজেন দিতে গিয়ে প্রাণ গেছে এক ডুবুরির। ফেরার পথে ট্যাংকে অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়।

গত ২ জুলাই দেশটির চিয়াং রাই প্রদেশের থাম লুয়াং গুহায় ব্রিটিশ ও থাই ডুবুরি দল কোচসহ নিখোঁজ ১২ ফুটবলারের সন্ধান পাওয়া যায়। গত ২৩ জুন তারা তাদের বার্ষিক ভ্রমণ ও ফিল্ড ট্রিপের জন্য বেরিয়েছিলো।

 

**গুহায় আটকা পড়া শিশুরা ‘সুস্থ’ আছে
**গুহায় আরও মাসখানেক থাকতে হতে পারে খুদে ফুটবলারদের
**থাইল্যান্ডে নিখোঁজ ফুটবল দলের সন্ধান, সবাই জীবিত

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই ডুবুরির নাম সামান গুনাম (৩৮)। তিনি থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী থেকে অবসর নিয়েছিলেন।

চিয়াং রাইয়ের ডেপুটি গভর্নর পাসাকর্ন বুনইয়ালাক বলেন, খুদে ফুটবলারদের অক্সিজেন দিয়ে ফেরার সময় তার ট্যাংকে অক্সিজেন ফুরিয়ে যায়। এসময় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। অন্য ডুবুরিরা তাকে উদ্ধার করে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) দিনগত রাত ২টায় তার মৃত্যু হয়।  

গভর্নর জানান, গুহায় আটকে পড়া শিশুদের উদ্ধারকাজ শুরু হলে গুনাম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশ নেন।  

থাম লুয়াং থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহার একটি। প্রত্যেক বছর এটি বর্ষায় ভেসে যায়। সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এর স্থায়িত্ব থাকে। ২৩ জুন খুদে ফুটবলাররা গুহায় প্রবেশের পর ভারী বর্ষণ আর কাদায় প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে গেলে তারা গুহার ভেতরে আটকা পড়ে।  

উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুহায় আটকে পড়াদের দ্রুত উদ্ধার করা হবে। এজন্য তারা তিনটি উপায়ের কথা বলছেন। তাদের প্রত্যেককে ডুবসাঁতার শিখতে হবে অন্যথায় বন্যা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রায় চার মাস গুহার ভেতর থাকতে হবে। এসময় তাদের খাবার ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। অথবা উদ্ধারকারীরা গুহা থেকে বের হওয়ার পথ কেটে সেদিক দিয়ে শিশুদের বের করবে।  

আটকে পড়া বাচ্চাদের বন্যা শেষ হওয়ার আগে বের করতে হলে, অবশ্যই ডুবসাঁতার শিখতে হবে এবং দক্ষ হতে হবে। এজন্য ডুবুরিরা এখন তাদের ডুব সাঁতার শেখাচ্ছেন।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, কর্দমাক্ত, অদৃশ্যমান গুহাটির ভেতর থেকে অভিজ্ঞতাশূন্য কিশোরদের ডুবসাঁতার দিয়ে বেরিয়ে আসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হবে। কৃত্রিম উপায়ে পানির স্তর কমিয়ে নিয়ে আসাও খুব সফল কিছু হবে না।

তারা বলছেন, স্বাভাবিক নিয়মে পানির স্তর হ্রাস হওয়ার জন্য আরও চার মাস সময় লাগবে। এজন্য তাদের ধারাবাহিকভাবে খাদ্যসহ অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করতে হবে।

তবে উদ্ধারকারীরা অভয় দিয়ে বলছেন, চিন্তার কোনো কারণ নেই। যেভাবেই হোক শিশুদের নিরাপদে গুহা থেকে উদ্ধার করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৮
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।