ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

থাই গুহায় যেভাবে চলছে উদ্ধার কার্যক্রম 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৮
থাই গুহায় যেভাবে চলছে উদ্ধার কার্যক্রম  উদ্ধার তৎপরতার প্রতীকী চিত্র

বিশাল পাহাড়ের ভেতরে গভীর অন্ধকার গুহা। একেক জায়গা একেক রকম। কোনো জায়গা পানিতে টইটম্বুর। আবার কোনো জায়গা অনেক উঁচু। কোনো কোনো জায়গা একেবারে সরু। 

থাম লুয়াং নামের এই বিপদসংকুল গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারে সাঁতরে, হেঁটে, লাফিয়ে এবং হামাগুড়ি দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কর্মীদের। উদ্ধার কার্যক্রমে বেশি ব্যবহার হচ্ছে রশি।

এখন পুরো বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের চোখ থাইল্যান্ডের ওই গভীর গুহায়।

রোববার (৮ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন থাইল্যান্ডের পাঁচ সদস্যের এলিট নেভি সিল ও ১৩ জন বিদেশি ডুবুরি। এরইমধ্যে ছয় কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি রয়েছেন কোচসহ ছয়জন।
 
অভিযান দলের প্রধান নারংসাক ওসতানাকর্ণ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৮ জন উদ্ধারকারী কিশোর ও তাদের কোচকে উদ্ধারের জন্য ডুবরি ও এলিট নেভি সিল গুহার ভেতর প্রবেশ করেছে।  

‘গুহাটি সাপের মতো পেচানো। জায়গায় জায়গায় প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য রশি ব্যবহার করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মী ও কিশোরদের পুরো মুখে পরতে হচ্ছে মাস্ক। তবে এতে শ্বাসগ্রহণে তেমন বিঘ্ন হবে না। প্রত্যেক কিশোরকে দুইজন ডুবুরি সঙ্গ দিচ্ছেন। সে দুই ডুবুরি কিশোর ও নিজেদের জন্য অক্সিজেনও বহন করছেন। ’

ডুবুরি দলের চেয়ারম্যান মার্টিন গ্রাস বলেছেন, কিশোরদের বলা হচ্ছে যেন তারা শ্বাস আটকে না রাখে। ধীরে ধীরে তাদের শ্বাস নিতে হবে ও হাত নাড়াতে হবে।  

‘টানা ১০ থেকে ১৫ মিনিট পানির নিচে থাকতে হতে পারে। গুহার পথের পানির ওপর এটা নির্ভর করবে। গুহার সরু রাস্তায় হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে। ’

এর আগে গুহায় কিশোরদের আটকে যাওয়ার স্থানে পর্যবেক্ষক ডুবুরির যেতে সময় লেগেছে ৬ ঘণ্টা আর ফিরে আসতে সময় লেগেছে ৫ ঘণ্টা।  

সেই পর্যবেক্ষক ডুবুরি জানান, গুহা থেকে বের হওয়ার মধ্যপথ সবচেয়ে বিপদসংকুল। এ জায়গাটির নাম ‘টি-জাংশন’। টি-জাংশনের জায়গাটি খুবই সরু। টি-জাংশন থেকে বের হওয়ার জন্য ‘এয়ার ট্যাংক’ খুলে রাখতে হবে।

টি-জাংশন পার হয়ে গুহার ‘চেম্বার-৩’ নামের জায়গাটি ডুবুরিদের সম্মুখ বেজ। এখানে ডুবুরিরা বিশ্রাম নিচ্ছেন। চেম্বার-৩ পার হওয়ার পর গুহার প্রবেশপথ। এখান থেকে বের হওয়ার পর উদ্ধার কিশোরদের সরাসরি নিটকস্থ চিয়াং রাই শহরের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।     

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।