ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভূমিকম্পের পর লোমবকের পর্বতে আটকা ২৬৬ অভিযাত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
ভূমিকম্পের পর লোমবকের পর্বতে আটকা ২৬৬ অভিযাত্রী মাউন্ট রিনজানি। ছবি: সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বালি দ্বীপের কাছে ল্যামবক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সেখানকার একটি পাহাড়ে আটকা পড়েছেন আড়াই শতাধিক হাইকার বা অভিযাত্রী। ভূমিকম্পে পাহাড় ধসের কারণে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এই দশায় পড়েছেন তারা।

মাউন্ট রিনজানি নামে পাহাড়টিতে আটকে পড়া এই অভিযাত্রীদের উদ্ধারে তৎপর হয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর শতাধিক কর্মী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, জাকার্তা সরকারের তরফ থেকে ঘটনার সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।

গত রোববার (২৯ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৭টার দিকে দ্বীপের উত্তরাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের প্রাণহানি এবং ১৬০ জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। নিহত দু’জনের মধ্যে এক মালয়েশিয়ান ও এক ইন্দোনেশিয়ান অভিযাত্রী রয়েছেন।

ভূমিকম্পে ওই অঞ্চলের বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধসে পড়ে। উপড়ে যায় গাছপালাও। লোমবকের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বালি দ্বীপেও পরাঘাত অনুভূত হয়।

ঘণ্টাকয়েক পর জানা যায়, লোমবকের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র মাউন্ট রিনজানি আরোহণে যাওয়া ওই দুই শতাধিক অভিযাত্রী ফিরতে পারছেন না। যে পথে তারা গিয়েছিলেন সেদিকে পাহাড় ধস হয়ে বিশাল এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সেখানে এখন আটকা পড়া এই বিপুলসংখ্যক অভিযাত্রীর মধ্যে ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার অনেক নাগরিক রয়েছেন। যে দু’জন নিহত হয়েছেন, তারাও পাহাড় ধসে চাপা পড়েছেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই পর্বত থেকে অন্তত ৫০০ অভিযাত্রী ফিরে এসেছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিদেশি ছিলেন। কিন্তু ২৬৬ জন এখনও সেখানে আটকা পড়ে আছেন। তাদের সন্ধানে পাহাড়ি এলাকায় চক্কর দিচ্ছে বেশ কিছু হেলিকপ্টার।

আগ্নেয়গিরির পর্বত রিনজানিতে প্রতিবছর চড়েন শতশত অভিযাত্রী। সেই ধারাবাহিকতায় সেদিনও পর্বতটিতে ছিলেন ওই অভিযাত্রীরা।

সুকান্তা নামে এক গাইড ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, অভিযাত্রীদের বেশিরভাগই পর্বতের ক্রেটার লেকের পাশে রয়েছেন। ভূমিধসের কারণে তারা সেখান থেকে কোনো দিকে যেতে পারছেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।