ডাবলিন: সরকারের ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে ভ্যাটিকান, ইরান ও পূর্ব তিমুরে দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়ারল্যান্ড।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এতে করে তাদের বছরে ১২ লাখ ৫০ হাজার ইউরো বেঁচে যাবে।
গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আইরিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর দু:খের সঙ্গে জানিয়েছে, তারা ভ্যাটিকানে দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তারা আরও জানায়, ভ্যাটিকানে তাদের দেশের কূটনীতিক কার্যক্রম চালানোর জন্য একজন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতই যথেষ্ট।
আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমোন গিলমোর জানান, দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলার জন্য আইএমএফ এবং ইইউ এর গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে তারা ব্যয় সংকোচণের চেষ্টা করছেন।
বিশ্বের সাম্প্রতিক অর্থনেতিক মন্দার প্রভাবে আয়ারল্যান্ড মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে পতিত হয়েছে।
আয়ারল্যান্ড ক্যাথলিক খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়ায় এতিহ্যগতভাবেই ভ্যাটিকানের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক রয়েছে। তাই ভ্যাটিকেনে দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। সম্প্রতি যাজকদের শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনায় আয়ারল্যান্ডে-ভ্যাটিকেন দ্বন্দ্বের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না তা নিয়েও কথা উঠছে।
তবে আয়ারল্যান্ড কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলেছে, ভ্যাটিকান-আয়ারল্যান্ড দ্বন্দ্বের সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক নেই।
গত জুলাইয়ে এক রিপোর্টে অভিযোগ তোলা হয়, আয়ারল্যান্ডের কর্কের চার্চে সংঘটিত শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার ব্যাপারে ভ্যাটিকান সহায়তা করছে। অবশ্য ভ্যাটিকান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রিপোর্টটি প্রকাশ হওয়ার পর ভ্যাটিকান ডাবলিনে নিয়োজিত তার বিশেষ প্রতিনিধিকে এই রিপোর্টের প্রভাব নিয়ে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠায় ।
রোমে বিশ্বের অনেক দেশের মতই আয়ারল্যান্ডের দুটি দূতাবাস রয়েছে। এর একটি ইতালির জন্য এবং আরেকটি ভ্যাটিকানের জন্য ব্যবহার করা হয়।
এদিকে, আয়ারল্যান্ড সরকারের এই ঘোষণায় গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছে আয়ারল্যান্ডের রোমান ক্যাথলিক চার্চ। এর প্রধান পুরোহিত কার্ডিনাল সিন ব্রাডি বলেন, তিনি আশা করেন আইরিশ সরকার তাদের সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১১