ইয়াঙ্গুন: মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির রাজনীতিতে ফিরতে আর কোনো বাধা নেই। দেশটির প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি করতে পারবে এমন একটি আইন পাশ করেন।
এখন থেকে মিয়ানমারের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহন করতে পারবে। প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের ফলে এতোদিনের সামরিক আগ্রাসী সরকারের চরিত্র কিছুটা হলেও গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম আহলিন জানায়, ‘শুক্রবার প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন এক সংশোধনী জারি করে। সেখানে ২০০৮ সালের সংবিধানকে ‘সংরক্ষণ’ করতে হবে কথার জায়গায় লিখা হয়েছে ‘মান্য এবং অনুগত’ থাকার কথা। ’
আর এই সংশোধনীর ফলে সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) পার্টি সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়াসহ সমালোচনাও করতে পারবে।
এছাড়াও এই সংশোধনীর ফলে এখন থেকে জেল বন্দীরাও রাজনৈতিক পার্টিতে অংশগ্রহন করতে পারবেন। এর আগে কোনো বন্দী রাজনীতিতে অংশগ্রহন করতে পারতেন না মিয়ানমারে।
এনএলডি মুখপাত্র নয়ন উইন একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পার্টি এই পরিবর্তনকে স্বগত জানায়। কিন্তু পার্টিকে আবারও নিবন্ধন করতে হবে এবং বছরের শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা পার্টি মেনে নিতে পারে না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই সংশোধনী পছন্দ করেছি তবে এর আরও সংশোধনের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি। সোমবার আমাদের দপ্তর খুললে আমরা এবিষয়ে আরও আলোচনা করবো। সংশোধনী নিয়ে আরও কি করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনার দরকার আছে। ’
জেলবন্দী পার্টি সদস্যদের বহিস্কার করার কারণে গত বছর এনএলডি মিয়ানমারের নির্বাচন বয়কট করেছিল। আর সেই সময় অং সাং সু চিও গৃহবন্দী ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১১