রোম: প্রধান প্রধান অর্তানৈতিক সংস্কারগুলো পার্রামেন্টে অনুমোদন হওয়ার পর ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইতালির পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনিকে পদত্যাগের আহ্বান জানানোর পর তিনি এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বেরলুসকোনি বাজেট ভোটে বিজয়ী হলেও তিনি সংসদের অর্ধেক সদস্যদের ভোট পাননি। তার তার ক্ষমতায় থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সে দেশের জনগণ।
বাজেট ভোট অনুষ্ঠানের পর ইতালির বিরোধী দলীয় নেতা পিয়ারলুইগি বারসানি তাকে পদত্যাগের জোর আহ্বান জানান। অন্যদিকে তার জোটের মৈত্রী ‘নর্দান লীগ’ ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে তার পদত্যাগ করা উচিত।
সম্প্রতি ইতালিতে ঋণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানের জনগণ উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছে। যদিও ইতালির ঘাটতি তুলনামূলক কম। তারপরও ইতালিতে বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ইতালির জিডিপি বৃদ্ধির হার কম এবং ঋণের পরিমাণ ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ইউরো হওয়ায় ইউরোজোনের দেশগুলোর মধ্যে পরবর্তী দেশ হিসেবে ইতালি ইউরো সংকটে পরবে।
অর্থনীতি বিষয়ক ইউরোপিয়ান কমিশনার ওলি রেন দেশটির অর্থনীতি অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ইতালির অর্থনীতি ‘খুবই উদ্বিগ্নকর’।
বিরোধী দলীয় আন্দোলনকারীরা পার্লামেন্টের বাইরে বেরলুসকোনির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছিল এই বলে যে, ‘পদত্যাগ’ করো তা না হলের আমরা গ্রিাস ছাড়বো।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১১