ঢাকা, রবিবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩২, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির তথ্য-প্রমাণ জনসমক্ষে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০২, নভেম্বর ১১, ২০১১
ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির তথ্য-প্রমাণ জনসমক্ষে

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী আলোচিত ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির তথ্য-প্রমাণ এবার জনসমক্ষে প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আর্কাইভ। এই কেলেঙ্কারির দায়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।



সে সময় জুরিরা প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও তার চিফ অব স্টাফের মধ্যকার এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার হারিয়ে যাওয়া ১৯ মিনিটের কথপোকথন সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট শপথ করে বলেছিলেন, রেকর্ডটা দুর্ঘটনা বশত মুছে গেছে।

এই অংশটিসহ সব প্রমাণ সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

একজন ইতিহাসবিদের অনুরোধে এক মার্কিন বিচারকের নির্দেশে এই গোপন তথ্যগুলো প্রথম প্রকাশ করা হয় ১৯৭৫ সালের জুনে।

ওই মামলায় জুরিরা কালিফোর্নিয়ার নিজ বাসায় নিক্সনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু সে সময় প্রেসিডেন্ট রেকর্ড থেকে হারিয়ে যাওয়া ১৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের কথপোকথের ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

তবে নিক্সনের দেওয়া সাক্ষ্য ওয়াটার কেলেঙ্কারির মামলার তদন্ত কাজে অনেক ভূমিকা রেখেছিল। মামলার প্রধান জুরিরা পরে এ ব্যাপারে আরও অনেক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেন।

ওয়াশিংটনে ওয়াটারগেট কমপ্লেক্সে ডেমোক্রাটিক ন্যাশনাল কংগ্রেস কার্যালয়ে চুরি করে প্রবেশ করার অপরাধে পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করার পর ওয়াটারগেট মামলা শুরু হয়। সেটা ১৯৭২ সালের জুনের ঘটনা।

মাত্র দুই বছরের মধ্যে এই মামলার জেরে প্রেসিডেন্ট নিক্সন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার দুই সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড এবং কার্ল বার্নস্টেইন দীর্ঘদিন খেটে এই ঘটনার ব্যাপক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেন। ডিপ থ্রোট নামে এক গোপন সূত্রে তারা প্রমাণ সংগ্রহ করেছিলেন।

ঘটনার ৩৩ বছর পর ২০০৫ সালে ডিপ থ্রোটের আসল পরিচয় প্রকাশ করা হয়। মার্ক ফেল্ট নামের এই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

তদন্তে জানা যায়, ওই পাঁচ ব্যক্তিকে নিক্সনের পুননির্বাচনী প্রচারণার তহবিল থেকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে পরে হোয়াইট হাইজের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এর জেরে ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে হোয়াইট হাইজের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা চাকরি হারান। পরে জুলাইয়ে একজন কর্মকর্তা জানান, ওভাল অফিসে ফোনকল এবং কথপোকথন রেকর্ড করার জন্য গোপন ট্যাপিং সিস্টেম রয়েছে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট নিক্সন ওভাল অফিসের ওই রেকর্ড প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান। ‘নির্বাহী বিশেষাধিকার’ উল্লেখ করে  আদালতের নির্দেশ মানতেও রাজি হননি তিনি।

তবে শেষ পর্যন্ত ১৯৭৪ সালের জুলাইয়ে তা হস্তান্তর করা হয়। ‘দ্য স্মোকিং গান’ শীর্ষক ওই রেকর্ডে জানা যায়, প্রেসিডেন্ট নিক্সন শুরু থেকেই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

এর পরেই ১৯৭৪ সালের আগস্টে নিক্সন পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।