ওয়াশিংটন: পশ্চিমের জন্য উদীয়মান হুমকি ইরানকে ঠেকাতে পারস্য উপসাগরীয় মিত্রদের কাছে বেশি করে অস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক জোট শক্তিশালী করতে হাজার হাজার বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা এবং অন্যান্য যুদ্ধোপকরণ সরবরাহ করার গোপন পরিকল্পনা করছে বর্তমান ওবামা প্রশাসন।
উদাহরণ হিসেবে, সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেশটির বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াবে ব্যাপকভাবে। ইরান সমরাস্ত্রের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে এমন লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে হামলা করতে সক্ষম প্রযুক্তির অস্ত্র দিতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ইরানকে সামলে রাখার প্রচেষ্ঠার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ।
উপসাগরীয় তেল সমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইরানের দৃঢ় ব্যবসায়ীক সম্পর্ক রয়েছে। তবে পারস্য উপাসাগরে রাজ পরিবারগুলোর মধ্যে আবু ধাবির শাসক আল নাহিয়ান পরিবারকে ইরানের সবচে বড় বিরোধী বলে মনে করা হয়। এছাড়া, দেশটির নেতৃস্থানীয়রা ইরানের পরমাণু অস্ত্রের বিপদ সম্পর্কে প্রায়ই প্রকাশ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তবে পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে বলে দাবি করে ইরান।
এদিকে ইরান আবার পারস্য উপসাগরে আরব আমিরাতের তিন দ্বীপের মালিকানা দাবি করে।
এইসব বিরোধ কাজে লাগাতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবিত প্যাকেজটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কংগ্রেসে উত্থাপন করার কথা রয়েছে। কংগ্রেসে অনুমোদন পেলে প্রায় ৪ হাজার ৯শ অস্ত্রশস্ত্র আরব আমিরাতের কাছে বিক্রি করবে ওবামা প্রশাসন।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সুযোগে ওই অঞ্চলে যাতে ইরান প্রভাব বিস্তারের সুযোগ না পায় সে উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ।
এদিকে চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটাচ্ছে ইরান।
ইরানের পরমাণু অস্ত্রের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিষয়ে আইএইএর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। ইসরায়েল ইরান আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে পারস্য উপসাগরে মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার লক্ষ্যে মার্কিন তৎপরতা যে বহুগুণে বাড়বে তা খুবই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১১