ইয়াঙ্গুন: সাধারণ বন্দীসহ অনেক রাজবন্দীকে আবারও মুক্তি দেবে মিয়ানমার সরকার। সোমবার থেকেই ওই বন্দীদের মুক্তি দেওয়া শুরু হবে বলেও জানায় সরকারি কর্তৃপক্ষ।
মিয়ানমার সরকারের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানান, ‘সোমবার কিছু বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। ’
বন্দী মুক্তি বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায় ওই কর্মকর্তা। তবে ইয়াঙ্গুনের বাইরে যেসকল বন্দী আছে তাদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার চাপে বা মিয়ানমারের নতুন সরকারের পলিসিগত কারণেই হোক গত অক্টোবরে দুইশত রাজবন্দীকে ক্ষমা ঘোষণা করে মিয়ানমার সরকার। কিন্তু এরপরেও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলে আসছে, মিয়ানমারে এখনও বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
সম্প্রতি মিয়ানমারের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক পরিবর্তনের দেখা মিলছে। নতুন গঠিত বেসামরিক সরকার এবং গণতন্ত্রীপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা দেশকে একটা স্থিতিশীল অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলেও অনেকে মনে করছেন।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার চীনের বন্ধুপ্রতিম হওয়া সত্ত্বেও চীনের নির্মিতব্য বাধ বন্ধ করে দেয় তারা।
মুক্তির জন্য অপেক্ষারত বন্দীদের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, গণতন্ত্রীপন্থী সমর্থক, সাংবাদিক, আইনজীবিসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন স্তরের জনগণ।
তবে ঠিক কি সংখ্যক রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে সেবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১১