জেনেভা: সারা বিশ্বের বিভিন্ন জাতি এবং সম্প্রদায়গুলো তাদের সরকারকে সৎ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিচ্ছে অনলাইনকে। শনিবার বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের প্রধান এরিক শ্মিট একথা বলেন।
হনলুলুতে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনোমিক কো-অপারেশনের এক সম্মেলেন তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তিউনিশিয়া এবং মিসরের নেতাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে ইন্টারনেট অনেক সাহায্য করেছে সে দেশের প্রতিবাদকারীদের। ফেইসবুকের মাধ্যমে তারা প্রতিবাদ করেছে। এছাড়া টুইটার তাদের একত্রিত হতে সাহায্য করেছে আর ইউটিউব সাহায্য করেছে বিশ্বব্যাপী ঘটনা সম্প্রচার করতে।
অনলাইন নাগরিকরা তাদের নিজেদের মতো মিত্র খুজে নেয়। তারা নিজেদের মতাদর্শিক লোকজনদের বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করতে পারছে বলেও জানান শ্মিট।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫২ শতাংশের (যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে) অনেক কিছু নিয়ে বলার আছে। তারা বলতে চায় অনেক কিছুই। যা কিছু অসঙ্গতি তা তারা প্রকাশ করতে চায়। আর এরাই হলো ইন্টারনেটের সর্বাধিক ব্যবহারকারী।
অনলাইন ব্যবহার করে তারা একে অপরের সঙ্গে কথা করছে। একেক জনের ঘটনা বিশ্লেষন করতে তারা অনেকেই একসাথে পর্যালোচনা করে বলেও জানান তিনি।
তবে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, সরকারের উচিত ইন্টারনেটের প্রতিবাদকে আমলে নেওয়া। তবে তারা ঘটনার অতিরঞ্জনও করে থাকে।
শ্মিট আরও বলেন, ইন্টারনেটে বিপ্লব পরিবেশ বা অভ্যুত্থানের পরিবেশ সৃস্টি করা খুব সহজ। তবে এর ভেতর দিয়েই বুঝে নিতে হবে কোনটা যৌক্তিক আর কোনটা অযৌক্তিক। মানুষ কি আসলেই কোনো ন্যায্য দাবি নিয়ে কথা বলছে না শুধুই মাঠ গরম করছে।
ইন্টারনেটের এই ব্যবহার বিশ্বব্যাপী দুইটি ধারার সৃষ্টি করছে। এর একটা হলো সরকারের বিরুদ্ধে শরীরি উপস্থিতি এবং অন্যটি হলো ইন্টারনেটে গণজাগরণ সৃষ্টি করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১১