ঢাকা, রবিবার, ৮ ভাদ্র ১৪৩২, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

সরকারের কাজে আরও গতি আনতে হবে: মুকেশ আম্বানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫৮, নভেম্বর ১৩, ২০১১
সরকারের কাজে আরও গতি আনতে হবে: মুকেশ আম্বানি

নয়াদিল্লি: ভারত সরকারকে আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মত দিয়েছেন দেশটির অন্যতম বৃহৎ কোম্পানি রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি।

রোববার ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত অর্থনীতি বিষয়ক এক শীর্ষ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।



সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের প্যানেল সদস্য ছিলেন তিনি। প্যানেল সদস্য হিসেবে আরও ছিলেন, মহারাষ্ট্র মুখ্যমন্ত্রী পৃত্থিরাজ চৌহান এবং বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা।

সরকারের সিদ্ধান্তহীনতাই ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে- এমন বিশ্বাস দিনে দিনে প্রবল হচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে মত দেন আম্বানি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন একুশ শতকের প্রশাসন ব্যবস্থা দরকার। আমরা একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশের মধ্যে বসবাস করছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা অসহায় বোধ করব। আমাদের এমন কিছু ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচি দরকার যা জনগণকে দেওয়া হবে যা তাদের জন্য প্রয়োজন। ’

সরকারের সমন্বয়হীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য অর্জনের পথে সরকার এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে একটি গতির অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। ভারত সরকারকে আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। ’

উন্নয়নের উদ্দেশ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে একসঙ্গে এবং দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও পরামর্শ দেন এই শিল্পপতি।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পৃত্থিরাজ বলেন, ‘ভারতের বৈচিত্রময়তার সদ্ব্যবহার করাই এদেশের রাজনীতির জন্য সবচে বড় চ্যালেঞ্জ। দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের রীতি জনগণকে উপেক্ষা করে আর এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ’

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা বলেন, ‘গণতন্ত্রে ভিন্ন মত, আদর্শ এবং বৈপরিত্য থাকবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ’ পার্লামেন্টের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে  বিলম্বিত হয়ে যাওয়া কিছু সংস্কারের ব্যাপারে কাজ শুরু হবে বলে আশা করেন তিনি।

ভারতের সম্ভাবনা সম্পর্কে এর আগে একবার আম্বানি বলেছিলেন, ‘ভারত লক্ষ-কোটি সমস্যার দেশ নয় বরং কোটি সুযোগের দেশ। এদেশে কাজ করার সুযোগ এতো বেশি যে আপনাকে রাতে ঘুমাতে দেবে না’

তিনি বলেন, ‘২০ বছর আগে ভারত সরকার প্রবৃদ্ধি জন্য নিজেই কাজ করতে। কিন্তু এখন প্রবৃদ্ধির জন্য বেসরকারি খাতের সঙ্গে একটি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এটি। ’

একটি নতুন ভারত গঠনের জন্য বটম-আপ উদ্যোগ সহায়তা করছে বলে উল্লেখ করেন আম্বানি।

দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উন্নয়ন বিশেষ করে নেতৃত্ব তৈরি এখন দ্বিতীয় শীর্ষ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত বলে উল্লেখ করেন আম্বানি। তিনি বলেন, ‘এমন একটা ভুল ধারণা ছিল যে, দায়িত্বশীল চাকরি ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সেই শুধু করা যায়। কিন্তু এখন ৪০ বছর বয়সীরাই আমাদের চেয়ে অনেক ভাল করছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।