ইয়াংগুন: মিয়ানমারের চলমান প্রশাসনিক সংস্কার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে সতর্কতার সঙ্গে নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি।
গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তির এক বছরপুর্তি উপলক্ষ্যে সোমবার এক বক্তব্যে সু চি প্রগতির ধারা বজায় রাখতে দৃঢ়সঙ্কল্প এবং সাহসী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সু চির এধরনের বক্তব্য এমন এক সময় এলো যখন সরকার আরও কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দিকে শিগগির মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে রাজনৈতিক দলের আচরণবিধি সংক্রান্ত সংবিধানের একটি ধারার পরিবর্তন করেছে সরকার। এতে করে সু চির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়া দল আবার নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এমনকি আসন্ন উপনির্বাচনে সু চির অংশ নেওয়ার কথাও শুনা যাচ্ছে।
গত সোমবার ইয়াংগুনে সাংবাদিকদের সামনে অনেক সময় ধরে কথা বলেন তিনি। এ সময় মিয়ানমার এখন গণতন্ত্রের পথে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছে কি না সে ব্যাপারে স্পষ্ট্রভাবে কিছু বলতে রাজি হননি সু চি।
তবে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা ওই পথটিই খুঁজে ফিরছি। এখন বিশ্বাস এবং সাহসের সঙ্গে এই পথ ধরে যেতে হবে। ’
গণতন্ত্রপন্থী এই নেত্রী তার জীবনের বিগত দিনগুলোকে ঘটনাবহুল, শক্তিদায়ী এবং কখনও কখনও বেশ উৎসাহব্যাঞ্জক বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, কিছু রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে অন্যরা এখনও কারাগারে। দেশের সংখ্যালঘিষ্ঠ নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় বৈরিভাব বাড়ছে যা রীতিমতো উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন সু চি।
তিনি বলেন, ‘তবে সর্বোপরি যে বিষয়টি সবচে গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো আইনের শাসন। এটা ছাড়া কোনও প্রগতিই টেকসই হবে না। ’
মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বর্তমান পরিবর্তনের ব্যাপারে সতর্কতার সঙ্গে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছেন সু চি। তবে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আরও অনেক কিছু করতে হবে বলে মনে করেন মিয়ানমারের আপোসহীন নেত্রী অং সান সু চি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১১