ঢাকা, রবিবার, ৮ ভাদ্র ১৪৩২, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

অস্ত্রবিরতি প্রত্যাহার করলো জঙ্গলমহলের মাওবাদীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০৮, নভেম্বর ১৫, ২০১১
অস্ত্রবিরতি প্রত্যাহার করলো জঙ্গলমহলের মাওবাদীরা

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত ভারতের মাওবাদী বিদ্রোহীরা সোমবার তাদের পূর্বে জারি কৃত  অস্ত্রবিরতি প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে।
 
বিদ্রোহী মাওবাদী নেতা আকাশ স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে জানা যায়, তাদের দমন করার জন্য পরিচালিত সরকারের অব্যাহত সামরিক(যৌথ বাহিনী) অভিযানের প্রেক্ষিতে তারা এই অস্ত্রবিরতি ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।



এদিকে স্থানীয় পুলিশ জানায়, এই ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পরই বিদ্রোহীরা পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে ক্ষমতাসীন দল তৃনমূল কংগ্রেসের একজন কর্মীকে তার পুত্রসহ হত্যা করে।

বিদ্রোহীরা জঙ্গালমহল থেকে সরকারী বাহিনীর প্রত্যাহার দাবি করছে। জঙ্গলমহল এলাকাটি পশ্চিমবঙ্গে ভারতের  মাওবাদী তৎপরতার কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও ভারতের মধ্য এবং পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি প্রদেশে মাওবাদী বিদ্রোহীরা সক্রিয়।

পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান ক্ষমতাসীন মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি গত মে মাসে রাজ্য নির্বাচনে জয়লাভ করার পরই মাওবাদীদের সাথে আলোচনার জন্য একটি মধ্যস্থতাকারী দল নিয়োগ দিয়েছিলেন।

মাওবাদী বিদ্রোহীদের সাথে শান্তি আলোচনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি ছিল তার অন্যতম প্রধান নির্বাচনী ইশতেহার।

এর প্রেক্ষিতে সরকারী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার পর মাওবাদীরা গত ৩ অক্টোবর থেকে অস্ত্রবিরতি পালন করছিল।

কিন্তু সোমবার ঘোষিত বিবৃতিতে মাওবাদী নেতা আকাশ মধ্যস্থাকারীদের কাজ করার স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । এছাড়া তিনি তাদের বিরুদ্ধে সরকারের তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করারও অভিযোগ আনেন।

পুলিশ জানায়, এই ঘোষণার পর পরই বিদ্রোহীরা পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর এলাকায় তৃনমূল কংগ্রেসের একজন কর্মীকে তার পুত্রসহ গুলি করে হত্যা করে।

এদিকে কলকাতায় বিবিসির প্রতিনিধি অমিতাভ ভট্টশালী জানান, গত এক সপ্তাহের ভেতর সরকার মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছে এবং এসময় বিদ্রোহীদের কমপক্ষে দুই জন শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হয়।

ঝাড়খন্ড রাজ্যের সীমান্ত সংলগ্ন জঙ্গলমহল অঞ্চলটি পশ্চিম মেদিনীপুর ,বাকুরা এবং পুরুলিয়া জেলা অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত।

মাওবাদীদের দাবী তারা এই অঞ্চলের অবহেলিত আদিবাসী এবং গ্রামীন দরিদ্র জনগণের অধিকার আদায়ের  জন্য লড়াই করছে।

উল্লেখ্য, মাওবাদী তৎপরতা দমন করার উদ্দেশ্যে ভারতের কেন্দ্রীয়  সরকার ২০০৯ সালে অপারেশন  ‘গ্রীন হান্ট’ নামের অভিযান শুরু করে। পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের এই অঞ্চলের ৫টি রাজ্য জুড়ে পরিচালিত এই অভিযানে ভারতের কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য অংশ গ্রহন করে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।