ব্যাংকক: থাইল্যান্ডের স্বেচ্ছা নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে সাধারণ ক্ষমার একটি বিতর্কিত খসড়া অধ্যাদেশ বুধবার অনুমোদন করেছে দেশটির মন্ত্রিসভা। এর ফলে থাকসিনের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের পথ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেল।
ইতোমধ্যে থাইল্যান্ডের বিরোধী রাজনৈতিক দল ওই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে কঠোর সমালোচনা শুরু করেছে। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থাকসিনের বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা অধ্যাদেশটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতেও রাজি হননি তিনি।
তবে খসড়া অধ্যাদেশটি কার্যকর করার আগে তা রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের অনুমোদন লাগবে। প্রতিবছর ৫ ডিসেম্বর রাজার জন্মদিনে কারও ব্যাপারে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়।
২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ষাটোর্ধ্ব থাকসিনের বিরুদ্ধে দূর্নীতির মামলা রয়েছে। এই মামলায় তাকে তিন বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি বর্তমানে সংযু্ক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।
গত জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনে ছোট বোন ইংলাকের নেতৃত্বে পিউ থাই পার্টি বিপুল ব্যাবধানে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। থাইল্যান্ডের গ্রামাঞ্চলে ভাই থাকসিনের ব্যাপক জনপ্রিয়তার জোরেই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১১