রোম: কোনো রাজনীতিবিদ ছাড়াই ইতালির নতুন সরকার গঠন হয়েছে বুধবার। আর এই সরকার গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন নতুন প্রধানমন্ত্রী মারিও মোন্তি।
রাজনীতিবিদদের জায়গায় মন্ত্রীসভায় জায়গা হয়েছে ইতালির নামকরা ব্যাংকার, কূটনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের। ইতালির অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতেই এই মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে বলে জানান মোন্তি।
তবে এর আগেই ৬৮ বছর বয়সী মোন্তি ইতালির জনগণকে অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির উন্নয়নে আশা দিয়ে বলেন, এই পরিস্থিতি সামলে উঠতে ইতালির জনগণকে অনেক মূল্য দিতে হবে।
নতুন সরকার গঠনের পর মোন্তি এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদে যান শপথ গ্রহণ করতে। আর এর মধ্য দিয়েই শেষ হলো ইতালিতে মিডিয়া মুঘল বের্লোসকুনির শাসন।
মোন্তি জানান, বৃহস্পতিবার এক আস্থা ভোটের পর সিনেট বরাবর জরুরি ভিত্তিতে পরিকল্পনা দাখিল করা হবে। এরপর আরও একটি ভোট অনুষ্ঠিত হবে নি¤œকক্ষে। তবে সকল ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক মন্দাকেই মূখ্য রেখে আলোচনা হবে।
নতুন সরকার গঠনের ফলে বুধবার দেশটির অর্থবাজারে সামান্য চাঙাভাব দেখা যায়। তবে সেই চাঙাভাব বেশিক্ষণ টেকেনি। সন্ধ্যের পরই আবারও আগের মতো মন্দাভাব দেখা দেয়।
ইতালির অবস্থা নিয়ে পুরো ইউরোপ চিন্তিত। কারণ ইউরোজোনের মধ্যে তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ইতালি। অনেকেই ধারণা করছেন, ইতালি এতোটাই বড় যে একে পুনরুদ্ধার করা ইউরোপের পক্ষে সম্ভব হবে না। ইতালির এই ঋণ সঙ্কট ইউরোজোনকে ভেঙে দেবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও অনেকে ধারণা করছেন।
উচ্চ মজুরি হার, কম উৎপাদন, সরকারি উদাসীনতা, অধিক ট্যাক্স, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং কম সংখ্যক গ্রাজুয়েট ছাত্র-ছাত্রীর কারণই ইতালির অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। কিন্তু মোন্তি জানান, ইতালি এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে যদি ইতালির জনগণ একসঙ্গে কাজ করে।
মোন্তি আরও জানান, ‘আমি আশা করি এই সরকার ভালো করবে। আমরা সবাই মিলে শান্তি বজায় রেখে রাজনৈতিকভাবে এই সমস্যার মোকাবেলা করবো। ’
মন্ত্রিসভায় কেন একজনও রাজনীতিবিদ নেই এমন এক প্রশ্নের জবাবে মোন্তি বলেন, ‘পার্টি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের অনুপস্থিতি এই অবস্থার উত্তরণে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি। ’
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১১